আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:৩৭

বাজারে বৈশাখী ইলিশ, ক্রেতারা সব ঘরে

রাত পোহালেই (বুধবার) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নতুন বর্ষ। নতুন বছরের প্রথম দিনে যেমন নববর্ষকে আবাহন করা হয় নানা আনুষ্ঠানিকতায় তেমনি বাঙালির ঘরে ঘরে থাকে রকমারি খাবারের আয়োজন।

পহেলা বৈশাখের খাবারের সেই আয়োজনে নানা অনুষঙ্গের মধ্যে আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ ছাড়া যেন চলেই না। কিন্তু এবারের পহেলা বৈশাখে লকডাউন শুরু হবে। সবাই থাকবে ঘরবন্দি। তার প্রভাবটা এবার পড়েছে ইলিশের বাজারে। বাজারে প্রচুর ইলিশ থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা।

একদিকে লকডাউন অন্যদিকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ দুটোর প্রভাব পড়েছে ইলিশের বাজারে। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা, প্রভাব পড়েছে দামেও। হতাশ ইলিশ বিক্রেতারা। সেজন্য ইলিশের অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন না তারা।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের একই চিত্র। সাধারণ ক্রেতাদের উপস্থিতি আছে আগের মতো। তবে ইলিশ কেনার বাড়তি আগ্রহ তেমন নেই।

ইলিশের দাম নিয়ে কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা রফিক বলেন, এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন তারা। এক কেজির নিচে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

খিলগাঁও বাজারে কাউসার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘লকডাউনের’ আগে বাজারে এসেছি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে। বৈশাখ উপলক্ষে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে দাম কম হলে ইলিশ কিনতে পারি। কিনতেই হবে এমন তো নয়।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষ এখন যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কিনছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে।

আরো সংবাদ