আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ১১:৪৭

বাণিজ্য মেলায় কোটি টাকার পরী পালং নজর কাড়ছে ক্রেতা- দর্শনার্থীদের

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলে অবস্থিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসর বসছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে।এবারবে মেলায় নজর কাড়ছে কোটি টাকার পরী পালং খাট। এখাটের বৈচিত্র হলো খাটের চার কোণে পায়া থাকার কথা থাকলেও কিন্তু সেখানে শোভা পাচ্ছে ডানা মেলে দাঁড়ানো অবস্থায় চারটি কাঠের তৈরি পরী। এবং সেই পরীদের ডান হতে রয়েছে আবার প্রজাপতি। খাটের চারপাশজুড়ে ছোট ছোট পরীসহ সর্বমোট ষোলটি পরী রয়েছে এ খাটে।
সম্পূর্ণ সেগুন গাছের কাঠ দিয়ে হাতে খোদাই করে বানানো হয়েছে এ রাজকীয় এ খাট। যা নজর কাড়ছে খাগড়াছড়িবাসীর। খাগড়াছড়ির গুইমারা ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর (৩৫) খাটটি তৈরি করেছেন। সম্প্রতি পরী পালং খাটটির ছবি সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। খাটটি বানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা গুইমারা উপজেলা মো. নুরন্নবী মিয়া মূলত শখের বসে কাঠমিস্ত্রি আবু বক্করকে দিয়ে এ পরী পালং কাঠটি বানিয়েছেন।

নুরন্নবী বলেন, কাঠের তৈরি খাটটি বানাতে তার খরচ হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। মজুরি বাবদ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর খাটটি তৈরিতে সময় লেগেছে ৩ বছর ২ মাস। জানা যায়, ২০১৭ সালে নুরন্নবী নিজের শখের কথা স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি আবু বক্করকে জানান। তারপর শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। সম্পূর্ণ নিজের ডিজাইনে হাতে খোদাই করে সেগুন গাছের রাজকীয় খাটটি তৈরি করে। কাঠ তৈরিতে বিভিন্ন সময় অন্য শ্রমিকদের সহযোগিতা নেয় আবু বক্কর। প্রায় ৩ বছর ৩ মাস ধরে চলে এই কাজ। কাঠ তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে প্রায় ১শ ফুট সেগুন গাছ। পুরো খাটজুড়ে রয়েছে খোদায় করা নকশা। বড় চারটি পরী ছাড়াও খাটটির পায়ের পাখা, জলম এবং বক্সের অংশে রয়েছে ছোট বড় আরও ১২টি পরী সদৃশ্য। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ খাটটি তৈরি শেষে নুরন্নবীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আবু বক্করও কিশোর বয়সে কাঠের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে এখন গুইমারাতে কাঠমিস্ত্রি হয়ে কাজ করছেন তিনি।

ফাতেমা এন্টার প্রাইজের সতাধিকারী মোঃ নূরন্নবী জানান,শখের বসে খাটটি বানিয়েছি। সম্পূর্ণ হাতে খোদায় করে পরী পালং খাটটি বানানো। বানিজ্য মেলায় এখন প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎসুক লোকজন খাটটি দেখতে আসছেন। এমন খাট আর একটাও নেই বললে চলে। ইতোমধ্যে ঢাকার এক ব্যক্তি ৭০ লাখ টাকা বলেছেন। আমি এক কোটি হলে খাটটি বিক্রি করবো। ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় খাটটি বিক্রির জন্য এনেছি।

পরী পালং খাটটি যিনি নিবেন তার জন্য উপহার হিসেবে থাকবে এফজেট নতুন ভার্সন হোন্ডা এবং এক ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার।

আরো সংবাদ