আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৪:১৪

বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত তরিকুল ইসলাম।

যশোর প্রতিনিধি : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার নেতাকর্মী ও যশোরের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন বর্ষীয়ান নেতা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। সোমবার শহরের ঈদগাহ ময়দানে বাদ আসর নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় প্রায় একলাখ মানুষের সমাগম ঘটে। ঈদগাহ মাঠে পেরিয়ে আশেপাশের সকল সড়কও পূর্ণ হয়ে লোকের উপস্থিতিতে। জানাজায় যশোরের ইতিহাসে এত মানুষের সমাগম কখনও হয়নি বলে জানান বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম রন্টু।

জানাজা শেষে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শহরের কারবালা কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। বুধবার বাদ আসর মরহুমের বাসভবনে কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদগাহ ময়দানে জানাজার আগে মরহুম তরিকুল ইসলামের কফিন বিএনপির দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজায় পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তরিকুল ইসলামের বড় ছেলে শান্তুনু ইসলাম সুমিত, ছোট ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

জানাজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, তরিকুল ইসলাম আমৃত্যু এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যশোর উন্নয়নের কারিগর। দলের নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।

জানাজা শেষে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা ও যশোর জেলার বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।

এর আগে বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টারযোগে যশোর বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় তরিকুল ইসলামের মরদেহ। সেখান থেকে নেওয়া শহরের ঘোপ এলাকার নিজবাস ভবনে। সেখানে তাকে একনজর দেখার জন্য অসংখ্য নেতাকর্মী ভিড় করেন। পরে মরদেহ শহরের লালদিঘিপাড়ে দলীয় কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর ঈদগাহ ময়দানে আনা হয় কফিন।

তরিকুল ইসলামকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যশোরে হাজির হন খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল নামে যশোর শহরে। প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি।

বিপুলসংখ্যক মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় দক্ষিণবঙ্গের প্রভাবশালী বিএনপি নেতা চিরবিদায় নিলেন। দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এছাড়াও যশোর জিলা পরিষদ, যশোর পৌরসভার পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আরো সংবাদ