ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো রাজ্যজুড়ে প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৪ জন মারা গেছে। এদের মধ্যে আটটি শিশু রয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে পাঁচজন।
কর্তৃপক্ষ শনিবার এ খবর জানিয়েছে।
গত দু’দিন ধরে রিও ডি জেনিরো রাজ্যে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার রাতে প্রচ- ঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এতে শহরের অনেক রাস্তা তলিয়ে যায়। তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে অনেকের ব্যক্তিগত গাড়ি।
আগামী দিনগুলোতেও বর্ষণ অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ব্রাজিলের পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।
দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যের আটলান্টিক উপকূলের বিস্তৃত অংশে ঝড় আঘাত হেনেছে। এতে একাধিক ভূমিধসের ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছে। পর্যটন শহর পারাটিতে ভূমিধসে পাঁচ সন্তানসহ এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট জায়ের বলসনারো ফেসবুকে বলেছেন, উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহযোগিতার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।
কংগ্রেস সদস্য মার্সেলো ফ্রেক্সো বলেছেন, মেসকুতা ও আংরা দে রেইস শহরে ভূমিধসে প্রাণ গেছে আরও দুজনের। ভূমিধসে অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরেক পর্যটন শহর আংরা দে রেইসে ভূমিধসে চাপা পড়ে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মেসকুতা শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি (৩৮) মারা গেছেন।
আংরা শহরের আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৬৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শহরটিতে এর আগে এত বৃষ্টিপাত হয়নি।
গত অক্টোবরে ব্রাজিলে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। এরপর থেকে বড় ধরনের নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। ডিসেম্বরে বাহিয়া রাজ্যে ঝড়ে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। জানুয়ারিতে ব্রাজিলের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২৪ জন মারা গেছে।