নিউজ ডেস্ক :: আজ বুধবার বিকালে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে এলপিজি এনে প্রক্রিয়াজাত করে ভারতে রপ্তানি করব। এটা প্রাকৃতিক গ্যাস নয়।”
দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রকৃত মজুদ কত, তা না জেনে রপ্তানি করার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এলপিজি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না, বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। গ্যাস উত্তোলনের সময় বাই প্রডাক্ট হিসেবে এলজি পাওয়া যায়।
“ত্রিপুরায় যে গ্যাসটা দিচ্ছি তা আমদানি করা এলপিজি, বটল গ্যাস। অন্য পণ্য যেমন আমরা রপ্তানি করি, ঠিক তেমন। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই।”
সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যে ভারত সফরের সময় গত ৫ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে তিনটি চুক্তি হয়, যার একটিতে ভারতের ত্রিপুরায় এলপিজি রপ্তানির কথা বলা হয়েছে।
নয়া দিল্লিতে ওই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর জল্পনা শুরু হয় যে, বাংলাদেশের গ্যাস সঙ্কটের মধ্যে ভারতে কেন রপ্তানি করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু মঙ্গলবার বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, “বাংলাদেশের কোনও গ্যাস ভারতে রপ্তানি হবে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে এলপিজি আমদানি করে তা ভারতে রপ্তানি করবে।”
আর বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করে দেবে এটা কখনও হতে পারে না।”
তিনি বলেন, “যারা এর বিরোধিতায় সোচ্চার মানে, বিএনপি, ২০০১ সালের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। আমেরিকা গ্যাস বিক্রির জন্য বলেছিল, আমি বলেছিলাম দেশের চাহিদা মিটিয়ে আমরা তারপর বিক্রি করব। যে কারণে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আর যারা গ্যাস বিক্রি করে দিচ্ছে বলছে, তারাই গ্যাস দেবে বলে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল।”