ভৈরব নদের যশোর শহরাংশে জোয়ারভাটা আসতে শুরু হয়েছে। রাজারহাট ব্রিজের কারণে পুরোদমে জোয়ার ভাটা আসতে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। ব্রিজটি সম্প্রসারণের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম। তবে কি পরিমাণে জোয়ার ভাটা আসছে সেটা এখন মাপা হয়নি বলে তিনি জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২১ সালের জুন মাসে ভৈরবের শহর অংশের কাজ শেষ করা হয়। বর্ষার কারণে বেশ কিছুদিন কাজ বন্ধ রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে সৌন্দর্য বর্ধন কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয় । চলতি বছরের মার্চ মাসে ভৈরব নদ থেকে বালু উত্তোলন করাসহ কচুরিপনা অপসারণ করা হয় জোয়ার ভাটা আনার জন্য। কিন্তু জোয়ার ভাটায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজারহাট ব্রিজ। ব্রিজের নিচের অংশ সরু হওয়ায় তেমন খনন করা না যাওয়ায় জোয়ার ভাটা এতদিন আসেনি। সম্প্রতি ওই ব্রিজের নিচের কিছু অংশ এলজিইডি খনন করে দেয়ায় ভৈরবে শহর অংশে এ সপ্তাহ থেকে জোয়ার ভাটা আসতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি বর্তমানে মানুষসহ যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি অপসারণ করা হলে ভৈরবে শহর অংশে পুরোদমে জোয়ার ভাটা আসবে। এ বিষয়ে এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর এ ব্রিজের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম আনিছুজ্জামান জানান, খুব শীঘ্রই রাজারহাটের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ অপসারণ করে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। তখন যশোর বাসির কাঙ্খিত জোয়ারভাটা ভৈরবের শহর অংশে দেখতে পাবে। তবে সামনে আসছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া । তাতে বেইলী ব্রিজ নির্মাণ করতে বড় সমস্যা হয়। এটা কেটে গেলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে।