বিশ্বায়নের এই যুগে প্রযুক্তি মানুষের জীবন যেমন সহজ থেকে সহজতর করছে তেমনি এই প্রযুক্তিই মানুষের জীবনকে নিয়ে যাচ্ছে ধ্বংশের দিকে। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া আপনার দিন কল্পনা করা দূর্বিসহ। আপনাকে কোন না কোন ভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে নেওয়ায় লাগছে। তেমনি আধুনিক প্রযুক্তির এক বিশেষ দান স্মার্ট মোবাইলফোন সহ আরও অনেক ডিভাইস।
এই সব ডিজিটাল পদ্ধতির অপব্যবহার করে অ্যানড্রয়েড ফোন, টিভি, কম্পিউটার, ল্যাপটপের মাধ্যমে জমজমাট হয়ে উঠেছে জুয়ার আসর। ক্রিকেটসহ বিভিন্ন লীগে চলেছ জুয়া খেলা। এটাকে নাম দেয়া হয়েছে- অনলাইন জুয়ার আসর। বিভিন্ন অ্যাপ খুলে চালানো হচ্ছে অনলাইন জুয়া।
অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, অনলাইন জুয়া সব থেকে বেশি খেলে থাকেন শিক্ষার্থীরা ও তালিকাভুক্ত মাদকব্যবসায়ীরা। অ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী খেলার চিপস কিনতে প্রয়োজন পড়ে ক্রেডিট বা ডেভিড কার্ড। এখন সেটাও সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকে পড়ে অনলাইন জুয়ার দিকে। এক সময় তারা এ খেলায় আসক্ত হয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
তবে এর সবথেকে বেশী ক্ষতির ভূক্তভোগী হচ্ছে স্কুল কলেজে পড়া ছেলে মেয়েরা। তারা যেমন বিভিন্ন অনলাইন গেম ( ফ্রি-ফায়ার ও পাবজি) এর মতো গেম আসক্ত হচ্ছে। এই গেমর জন্য অনেক স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীর আত্তহত্যার মতো ঘটনাও দেশে অনেক ঘটেছে এবং ঘটছে। তবে বর্তমানে উঠতি বয়সি তরুন তরুনীরা সবথেকে বেশী আসক্ত হতে দেখা যাচ্ছে অনলাইন জুয়ার নেশাই।
এই জুয়ার টাকা যোগাড় করতে তারা জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। কিছুদিন আগে এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্র জুয়ার টাকা যোগাড় করতে অপহরনমূলক নাটক সাজিয়ে তার বাবার কাছ ৫০০০০ হাজার টাকা দাবি করে। এছাড়াও এই সকল গেম খেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হেরে নি:শ্ব হয়েছেন অনেক যুবক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়ার এক ব্যাক্তি বলেন এই জুয়া খেলে আমি প্রায় ৩ লক্ষ টাকা হেরে আমি এখন নি:শ্ব।
কিছু অভিবাবকের সাথে কথা হলে তারা বলেন:-
এই বিষয়ে এখনই যদি কোন ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে দেশ আরও বিপদের দিকে চলে যাবে।