আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:১৪

মণিরামপুরে চাউল কেলেংকারীর পরপরই রাতের আঁধারে মাঠ ভরাট শুরু : হুমকিতে স্কুল ভবন

মণিরামপুরে চাউল কেলেংকারীর পরপরই নড়েচড়ে বসেছে কাবিখা প্রকল্প সমূহের প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতিবৃন্দ। তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছেন তারা। এমনকি তাড়াহুড়ো করে সরকারী জায়গা হতে কাটি কাটায় হুমকির মূখে পড়েছে একটি বিদ্যালয় ভবন।

সূত্র জানায়, মণিরামপুরে একই প্রকল্পে একাধিকবার ভিন্ন ভিন্ন খাত হতে বরাদ্দ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। একই প্রকল্পে কখনও কাবিখা, আবার কখনও টিআর, কখনওবা এডিবি হতে ভিন্ন ভিন্ন নামে একই অবস্থানে প্রকল্প গ্রহন করে এক শ্রেণীর চতুর লোক। তবে কাজ হয় একটি খাতের বরাদ্দের।

অভিযোগ উঠেছে কাবিখা বিশেষ বরাদ্দ হতে পাওয়া এসব প্রকল্পের কয়েকজন সভাপতি মাস খানেক আগে প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত পণ্য (চাউল) উত্তোলন করেন। কিন্তু ওই চাউল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে কাজ না করেই অপেক্ষা করতে থাকেন পরবর্তী এডিবি প্রকল্পের জন্য। অর্থাৎ এডিবি প্রকল্প হতে একই অবস্থানে বরাদ্দ নিয়ে একটি কাজ করে দু’টি বরাদ্দ হজম করাই ছিলো তাদের লক্ষ্য।

কিন্তু সম্প্রতি মণিরামপুরে ঘটে যাওয়া চাউল পাঁচার কান্ডে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিজেকে বাঁচাতে চারজন প্রকল্প সভাপতির অনুকুলে পণ্য ছাড় করার নাটক সাজিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সাথে সাথেই ওই সব প্রকল্প সভাপতিগণ রাতের আঁধারেই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন।

প্রকল্পসমূহ হলো রাজগঞ্জ সার্বজনীন পূজা মন্দির সংস্কার, যার বরাদ্দ ৬.২৫০ মে:টন, পিআইও অফিস ছাড় ১০/০৩/২০ তাং, প্রকল্প সভাপতি ভীম কুমার সাধু, রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ভরাট, বরাদ্দ-৬.২৫০ মে:টন, সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, পিআইও অফিস ছাড় ১২/০৩/২০ তাং, কেএইচএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ভরাট, বরাদ্দ-২.৭৫০ মে:টন, প্রকল্প সভাপতি আব্দুল মান্নান, পিআইও অফিস ছাড় ১৩/০৩/২০তাং এবং বালিদহ পাঁচাকড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ভরাট, বরাদ্দ-২.৫০০ মে:টন, সভাপতি: বিকাশ কান্তি।

জানাগেছে রাজগঞ্জের দু’টি প্রকল্পের জন্য তড়িঘড়ি করে স্থানীয় সরকারী জমি হতে স্কেভেটরের সাহায্যে মাটি কাঁটা হচ্ছে। যাতে একটি বিদ্যালয় ভবন চরম ঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা চাকলাদার আবুল বাশার এব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসসহ বিভিন্ন মহলে বিষয়টি জানিয়েছে।

এব্যাপারে জানতে মণিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরো সংবাদ