আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১১:৫৩

মাদক ব্যবসার দ্বন্দে খুন হয় মামুন। আদালতে স্বীকারোক্তি।

স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর শহরের ষ্টেডিয়ামপাড়ায় নির্মাণ শ্রমিক আল মাহমুদ ওরফে মামুন হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক বিপ্লব আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিপ্লব সার্কিট হাউজপাড়ার আনোয়ার গাজীর ছেলে। রোববার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আকরাম হোসেন আসামির জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, প্রতিদিনই বন্ধুরা ওই এলাকায় আড্ডাদিত। ওইদিন তাদের সাথে ধর্মতলার ব্লাক সিয়াম ও হ্যাচারীপাড়ার ফাইম ছিলো।মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সাব্বিরের সাথে আগে থেকেই মামুনের গোলোযোগ ছিলো। এসময় মামুনকে তারা দেখতে পায়। পরে মামুনকে ধাওয়া দেয়। মামুনের সাথে থাকা আরাফাত ও সাজিম পালিয়ে যায়।স্টেডিয়ামের পাশে বটতলায় মামুনকে ধরে ফেলে তারা।এরপর সাব্বির মামুনকে জাপটে ধরে। তার সাথে সিয়াম ও রাকিবও ধরে রাখে। এসময় ফাহিম এসে মামুনকে ছুরিকাহাত করে।এসময় সাব্বির, সিয়াম, রাকিব, ফাইম মামুনকে মারতে থাকে। এসময় বিপ্লব সহ অন্যরা পাশে দাড়িয়ে ছিলো বলে জবানবন্দিতে তিনি জানান। এদিকে এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা শনিবারই থানায় মামলা হয়। নিহত মামুনের পিতা মামুন খড়কী স্টেডিয়ামপাড়ার বুলুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল বাশার বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় শনিবার (৩০ মে) বিকেলে মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩জনকে আসামি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, খড়কী হাজাম পাড়ার সাব্বির রফিকের ছেলে সাব্বির হোসেন, খড়কীর হাজাম পাড়ার হৃদয় ওরফে টেরা হৃদয়, কলেজপাড়ার রাকিব হোসেন, বকচর বিহারী কোলোনীর খানজাহান আলীর ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিকি, কলেজপাড়ার রসুল, হকাস মার্কেটের পেছনের বাসিন্দা মিলনের ছেলে তাসিন, কলেজপাড়ার জাহিদ, ধর্মতলার ব্লাক সিয়াম, মাহিম, খোলাডাঙ্গার সাধনের ছেলে জয়, একই এলাকার নিশু, খড়কী কলেজপাড়ার ইসমাইল।

আরো সংবাদ