যশোর প্রতিনিধিঃ শোকের মাস আগস্টের ১৩ তম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে নরপিশাচরূপী ঘাতকচক্র। এরপর থেকে এ মাস মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিখন বেদনাবিধুর শোকের মাস হিসেবে পরিচিত।

তাই আগস্ট মাসকে আওয়ামী লীগসহ পুরো জাতি পালন করে শোকের মাস হিসেবে। ১ আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, শোক ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে।

আগস্টের মাসকে স্মরণ করে মাস ব্যাপি দোয়া মাহফিল ও খাদ্য সহায়তা প্রদানের কর্মসূচি হিসাবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আরবপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পাকদিয়া গ্রামে মন্টুর দোকানের সামনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আরবপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম। দোয়া শেষে তিনি ১০০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাস ও বাংলাদেশের প্রায় ৩১ জেলায় বণ্যা কবলিত হওয়ায় জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগষ্ট উপলক্ষে তবারক বিতরণের পরিবর্তে সমগ্র ইউনিয়নে মাস ব্যাপি দোয়া মাহফিল ও নিন্ম আয়ের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন অব্যাহত রাখবেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বলেন দূর্যোগের এই সময়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, বিভিন্ন ত্রান-সাহায্য, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর তৈরী করে দেওয়া সহ দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা সকলে প্রতিদিন তার জন্য দোয়া করব তিনি যেন সুস্থ থাকেন। সুস্থ থেকে রাষ্ট্রের উন্নয়ন করে যেতে পারেন।

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন গ্রামের একজন সাধারন ছেলে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার মতো অজপাড়াগাঁয়ের কাদাপানিতে তাঁর বেড়ে ওঠা। নিজে একেবারে দরিদ্র পরিবারের সন্তান না হলেও তৎকালীন গ্রামীণ দারিদ্র্য দেখেছেন খুব কাছ থেকে। মানুষের অভাব-দারিদ্র্য সইতে পারতেন না। বালক বেলা থেকেই নিজেদের গোলার ধান চুপিসারে বিলিয়ে দিতেন গরিবদের মাঝে। গায়ের চাদর খুলে দিয়েছেন শীতে কষ্ট-পাওয়া গ্রামীণ মানুষকে। থাকা এবং না-থাকার বিষয়টি তাঁকে ছোট বেলা থেকেই ভাবিত ও তাড়িত করেছে। বঙ্গবন্ধুর এমন আদর্শ আমাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে। গরীব আসহায়দের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। মানবতার জন্য সব সময় কাজ করতে হবে। এটা আমার জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শিক্ষা।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ঠাকুর দাস এবং সভা সঞ্চালনা করেন আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুগ্ম আহবায়ক ইকরামুল কবির রবিউল, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য রুবিনা পারভীন চায়না, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা উজ্জল হোসেন, সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য সালমা পারভীন কেয়া, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মোল্যা, আওয়ামীলীগ নেতা মকবুল হোসেন, ১ নং ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ, আওয়ামীলীগ নেতা ব্লু, হাফিজুর রহমান।
আরবপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সুমি আক্তার, আসমা আক্তার।
আরবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের অন্যতম নেতা রবিউল ইসলাম মিন্টু, নাজমুল সর্দার, তফেল বাবু, আশরাফুল ইসলাম আশা, শুকুর আলী, সুমন, মফিজুর রহমান, মিন্টু, বাদশা, বাবলু।
ছাত্রলীগ তারেক হাসান দিপু, আরাফান শাকিল, শান্ত, র‍য়েল, সোহেল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।