আজ - মঙ্গলবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ২:৪৫

মিন্নিকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ-সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত তথ্য দাখিল করার জন্য মিন্নির আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট বলেছেন, মিন্নিকে কবে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়, কখন ও কবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়, কবে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মিন্নির দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়, মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়ে কবে-কখন পুলিশ সুপার (এসপি) সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছিলেন- এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সম্পূরক প্রতিবেদনে থাকতে হবে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ফের এ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।

আদালতে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মঈনুল ইসলাম ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসাইন বাপ্পী।

হাইকোর্টে আইনজীবী পান্না বলেন, ‘মিন্নির রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে বরগুনার আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী পাওয়া যায়নি। আর পুলিশ তাকে রিমান্ডে পেয়ে পুলিশ লাইনসে নিয়ে গিয়েছিল, যা নিয়মের লঙ্ঘন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিন্নি ১৯ বছরের একটি মেয়ে। সে স্বামীকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। সেটা ভিডিওতে এসেছে। কিন্ত পুলিশ সেই ভিডিও ১১ ভাগে ভাগ করে এখন বলছে, মিন্নি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।’

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, কোনো কোনো পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মিন্নি হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার আগেই পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে তার অপরাধ স্বীকার করার তথ্য সাংবাদিকদের দিয়েছেন। আসলে সেদিন কী ঘটেছিল, পুলিশ সুপার কী বলেছিলেন, কখন বলেছিলেন- এ বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন। পরে এসব তথ্য হাইকোর্টকে জানানোর জন্য মিন্নির আইনজীবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি একই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকেও বিশদ জেনে আসার জন্য বলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট মিন্নির পক্ষে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন দাখিল করা হয়। পরে ৮ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানির পর আবেদনটি ফিরিয়ে নেন মিন্নির আইনজীবী। এরপর গত রোববার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে এই বেঞ্চে ফের আবেদন করা হয়।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি। পরে ১৬ জুলাই নাটকীয়ভাবে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কয়েক দফায় মিন্নির জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত।

খানজাহান আলী 24/7 নিউজ / সাদাব হোসেন।

আরো সংবাদ