আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ১০:৫৬

মিয়ানমারকে অবশ্যই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: জাতিসংঘের আদালতে গাম্বিয়া

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের চালানো গণহত্যার বিচারের দাবিতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে করা মামলার শুনানিতে অংশ নেন গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবকর তাম্বাদৌউ।

জাতিসংঘের আদালতে গাম্বিয়া বলেছে, মিয়ানমারকে অবশ্যই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি এ দাবি জানায়। গাম্বিয়া বিচারকদের অনুরোধ করেছেন, মিয়ানমার যেন গণহত্যা বন্ধ করে সেই নির্দেশ তারা দেশটিকে দেন। 

নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় এই মামলার শুনানি শুরু হয়।

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সময় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে করা এই মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সেই সামরিক শক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরবেন, যারা এক সময় তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল।

শুনানিতে গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদৌউ বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গাম্বিয়া একটা বিষয়ই চায়, তা হলো আপনারা মিয়ানমারকে বলুন তারা যেন এই নির্মম হত্যা বন্ধ করে। আমাদের বিবেককে ধাক্কা দেয় এমন বর্বরতা যেন তারা বন্ধ করে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক কঠোর বিদ্রোহ দমন অভিযান শুরু করে। এ সময় গণধর্ষণ, হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়াসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমার বিষয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান গত অক্টোবর মাসে সতর্ক করে দেয় যে, সেখানে গণহত্যার পুনরাবৃত্তির গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। 

সেই সঙ্গে মিশন জানায়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আইনি অঙ্গনে মিয়ানমারের জবাবদিহি আদায় করা উচিত।

গণহত্যার অপরাধ বাড়িয়ে দেয়া বা এতে ইন্ধন দেয়ার মতো সব কার্যক্রম বন্ধে নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এ মামলা করে গাম্বিয়া। তারা ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

মিয়ানমারের তৎকালীন জান্তা সরকারের আমলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া সু চি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দ্য হেগে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মামলার এ সপ্তাহের শুনানি আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।

আরো সংবাদ