ধরাছোঁয়ার বাইরে সিন্ডিকেট
বিশেষ প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মাদকদ্রব্যের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ী উপজেলার অন্তর্গত কুন্ডের বাজার ও এর আশেপাশের এলাকা। ইতিমধ্যেই গ্রামটি পরিচিত পেয়েছে “মাদক ভান্ডার” হিসেবে।এখানে মাদকদ্রব্য এতটাই সহজলভ্য যে,হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় গাঁজা,ইয়াবা আর ফেনসিডিল এর মতো মাকদ দ্রব্য। আশংকাজনক হারে মাদকের বিস্তার ঘটেছে এখানে।বিশেষভাবে,যুবসমাজের মাঝে।অনেকটা চুপিসারে ও গোপনে চলছে সমাজ ধ্বংসকারী মাদক ব্যবসা।অতিরিক্ত
মাদক সেবনে নৈতিকতা লোপ পাবার ফলে সংঘটিত হচ্ছে চুরি,ছিনতাই, খুন এর মতো বিভিন্ন মারাত্মক অপরাধ।সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টিও।মাদকসেবীদের ভয়ে এখন স্থানীয়রা খুবই শঙ্কিত।গোপন সূত্রে জানা যায় যে,এসকল মাদক সরবরাহ করে আবু ওরফে গাঞ্জা আবু নামের এক ইয়াবা সম্রাট।তার হাতে আসে বড় আকারের চালান।সেগুলো সে ও তার সহযোগীরা মিলে সরবরাহ করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাছে,বিশেষ করে যুবকদের কাছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান,আবু বহুদিন ধরেই ইয়াবা, গাঁজা ব্যবসার সাথে জড়িত।এর আগে সে কয়েকবার এ অপরাধে জেলেও গিয়েছে।কিন্তু কাজের কাজ হয় নি।আইনের ফাক গলে বেরিয়ে এসেছে কুখ্যাত যুবসমাজ ধ্বংসকারী এই মাদক সম্রাট।সে একা নয়,তার সাথে রয়েছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। যাদের ছত্রছায়ায় সে এসব অপকর্ম করতে সাহস পাচ্ছে। প্রায় পনের হাজার মানুষের কেন্দ্রবিন্দু এই কুন্ডের বাজার।আর এখানেই হরহামেশা আদানপ্রদান হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য।সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে মাদকের করাল গ্রাসে যুবসমাজ ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচানো যাবে না।উল্লেখ্য যে,এখানকার বেশিরভাগ মানুষই নির্মাণ শ্রমিক।শিক্ষার হার ১০% প্রায়।যুবকেরা অধিকাংশই সহজলভ্য হওয়ায় কষ্টার্জিত অর্থ দিয়েও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে নিজেদেরকে।প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের আশুদৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এলাকাবাসী।