অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে প্রায় ২০ দিন পর জনসম্মুখে এলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এই তথ্য জানায়।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছাকাছি সাঞ্চিয়ন নামক স্থানে একটি সার কারখানার উদ্বোধন করেছেন কিম। এসময় তার সঙ্গে বোন কিম ইয়ো-জং ও রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা ছিলেন। ফিতা কেটে কারখানাটি উদ্বোধনী করেন কিম। এসময় উপস্থিত কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও অতিথিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।
তবে কিমের জনসম্মুখে হাজির হওয়ার খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া কেসিএনএ কিমের নতুন কোন ছবিও প্রকাশ করেনি।
গত ১২ এপ্রিলের পর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না উত্তর কোরিয়ার এই একনায়ক শাসককে। গুজব ওঠে কিম মারা গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ৩৬ বছর বয়সী কিম জং উনের ভুয়া মৃতদেহের ছবিও ভাইরাল হয়।
গত ১৫ এপ্রিল পিতামহ এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন কিম।
এরইমধ্যে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম কোরিয়া জংআং ডেইলি জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কিমের এক নিরাপত্তারক্ষী। আর এ কারণেই বেশ কয়েকদিন ধরে আইসোলেশনে রয়েছেন কিম।
এছাড়া নিউইয়র্ক পোস্টসহ কিছু সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত বছরের আগস্ট থেকে হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন কিম। এপ্রিলের শুরুতে পায়েকতু নামের এক পাহাড়ি এলাকা থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই তার সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়। সেজন্য করোনাকালে সতর্কতাস্বরূপ আড়ালে গিয়ে থাকছেন কিম। তবে কিমের মৃত্যু বা অসুস্থতার খবর সব সময়ই উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত সোমবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় কিমের ব্যাপারে ট্রাম বলেছেন, হ্যাঁ, কিম কেমন আছেন আমি জানি। কিন্তু এ ব্যাপারে এখনই আমি কিছু বলব না। আমি আশা করি, তিনি ভালো আছেন। খুব দ্রুতই আপনারাও তার ব্যাপারে জানতে পারবেন। আমি কেবল তার শুভ কামনা করছি।
তবে শুক্রবার প্রকাশ্যে এসে মৃত্যুর গুঞ্জনকে মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন এমন খবর প্রকাশিত হলেও কিমের ছবি প্রকাশ না করায় বিষয়টি কিছুটা ধোঁয়াশা থেকে যায়।