আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১০:৩৫

যশোর চুড়ামনকাঠি মোস্তফা হত্যার রহস্য উদঘাটন ডিবির

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফাকে আর্থিক লেনদেনের কারণে খুন করা হয়েছে। এ খুনের সাথে দুইজন জড়িত ছিলেন। বুধবার রাতে পুলিশে গোলাম মোস্তফাকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র (ছুরি) উদ্ধার করেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন প্রেস কনফারেন্স করে এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, একই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আটক আব্দুল্লাহ ও শহিদুলকে নিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার ও খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।  আব্দুল্লাহ চুড়ামনকাঠি গ্রামের উত্তরপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে আর শহিদুল ইসলাম যশোর শহরের মনিহার এলাকার বাসিন্দা। সে পেশায়  বাস চালক।

চুড়ামনকাঠি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনিসুর রহমান জানান, কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা‘র কান্ডে জড়িত সন্ধেহে আটক আব্দুল্লাহ ও শহিদুলকে বুধবার রাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় পুলিশ। আব্দুল্লাহ র স্বীকারোক্তিতে বাড়ির একপাশে লুকিয়ে রাখা ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আব্দুল্লাহ ও শহিদুল হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলেন।  ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ও মোস্তফা প্রথমে মনিহার এলাকায় যায়। সেখান থেকে শহিদুলকে সাথে নিয়ে আসে চুড়ামনকাটি বাজারে। এরপর ধার করা একটি পালসার মোটরসাইকেল করে গোলাম মোস্তফা, আব্দুল্লাহ ও শহিদুল যায় চৌগাছা উপজেলার সলুয়া এলাকায়। সেখানে তারা তিনজন ফেনসিডিল সেবন করেন। এরপর চুড়ামনকাঠি আসে সেখান থেকে গাঁজা সেবন করে। সেখান থেকে রাত ৮টার দিকে আসে চুড়ামনকাটির ভৈরব নদের পাড়ে। একপর্যায়ে আব্দুল্লাহ ছুরি দিয়ে পিছন থেকে মোস্তফার গলায় আঘাত করে। এসময় ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তখন আব্দুল্লাহ ও শহিদুল মিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। এসময় শহিদুল জাপটে ধরলে আব্দুল্লাহ ব্যবসায়ী মোস্তফাকে গলা কেটে খুন করে। পরে মৃতদেহ ভৈরব নদে ফেলে কচুরিপনা দিয়ে ঢেকে রেখে চলে আসে।

আব্দুল্লাহ পুলিশকে আরো জানিয়েছে, মোস্তফার কারণে তার বিভিন্ন সময় ১০ লাখ টাকা খোয়া গেছে। যে কারণে মোস্তফাকে খুনের পরিকল্পনা করে আব্দুল্লাহ । সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার, তৌহিদুর রহমান, গোলাম রব্বানী, ডিবি ওসি সৌমেন দাস উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য ২৪ অক্টোবর বিকেল ৪ টার দিকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী কাজের উদ্দেশ্যে বের হন গোলাম মোস্তফা। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

২৫ অক্টোবর সকালে চুড়ামনকাটি-কাশিমপুর সড়কের ঘোনা গ্রামের জনৈক চিত্ত বাবুর মেহগনি বাগানের দক্ষিণ পাশে বুড়ি ভৈরব নদে গোলাম মোস্তফার লাশ পাওয়া যায়। এদিন পুলিশ মোস্তফার ব্যবসায়ী পার্টনার আব্দুল্লাহ আল মামুন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়। আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসে হত্যার মূল রহস্য।

আরো সংবাদ