খানজাহান আলী 24/7 নিউজ ডেস্ক ।। চৌগাছা থানার লস্করপুর শ্মশান মাঠে পাটক্ষেত থেকে মুখে স্কসস্টেপ মোড়ানো রাতুলের হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
এ ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার কাশিপুর গ্রামের হায়দার আলী মন্ডলের ছেলে শিশির আহম্মেদ (১৯) কে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় তারা ভিকটিম ও আসামীর মোবাইল ফোন, ভিকটিমের পরিহিত বস্ত্র, হত্যার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
এর আগে ১৮ বছর বয়সী অজ্ঞাত যুবকের এক মৃত দেহ পেয়ে উদ্ধার করে চৌগাছা থানা পুলিশ। পরবর্তীতে মৃতের আত্মীয়-স্বজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ও ছবি দেখে মৃতের মৃতদেহ সনাক্ত পূর্বক জানায় যে, লাশের নাম এহতেশাম মাহমুদ রাতুল (১৮)। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার বাজিপোতা গ্রামের মোঃ মহিউদ্দীনের ছেলে।
মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার ওপর ন্যাস্ত করলে জেলা গোয়েন্দা শাখা অফিসার ইনচার্জ এসআই মোঃ শামীম হোসেন মামলার তদন্তভার গ্রহন করেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা, (ডিএসবি), মোহাম্মদ জাহাংগীরর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “ক” সার্কেল মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন গণ’দের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রূপন কুমার সরকার, পিপিএম এর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি’র এসআই(নিঃ)/ মোঃ শামীম হোসেন, সংগীয় এসআই (নিঃ) মোঃ মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ও এএসআই (নিঃ) রঞ্জন সরকার, সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি চৌকস টিম গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ইং ১৬/০৭/২০২১ তারিখ বেলা ১৩.৩০ ঘটিকার সময় চট্টগ্রামের সিএমপি বন্দর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ও মূল হত্যাকারী ভিকটিমের ভগ্নিপতি(দুলাভাই), শিশির আহম্মেদকে গ্রেফতার করে।
আসামীর স্বীকারোক্তি মতে ঐদিনই রাত ০৯ টা ৩০ মিনিটে চৌগাছা থানার লস্করপুর শ্মশান মাঠে মামলা ঘটনাস্থলের অদূরে একটি পাটক্ষেত থেকে ভিকটিমের পরিহিত বস্ত্র ও হত্যা কাজে ব্যবহৃত স্কচটেপ ও হ্যান্ড গ্লভস্ এবং একই তারিখ ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানাধীন কাশিপুর সাকিনে ধৃত আসামীর বসতবাড়ী হতে অত্র মামলার ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশির সূত্রে জেলা ডিবি সাংবাদিকদের জানায়, নিহত রাতুল আসামী শিশিরের আপন ভগ্নিপতি(দুলাভাই)। আসামীর শ্বশুর একদিন বাড়ীতে ডেকে এনে অপমান অপদস্থ করলে রাগে ক্ষোভে সেই থেকে তার একমাত্র ছেলে (ভিকটিম)কে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করতে থাকে। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিমকে তার ভগ্নিপতি আসামী শিশির আহাম্মেদ মোবাইল ফোনে (ভিকটিমের বোনের ফোন দ্বারা) ডেকে নিয়ে মামলার ঘটনাস্থলে গিয়ে গাঁজা সেবন ও কোমল পানীয় মজো এর মধ্যে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিমকে খাওয়াইয়া অজ্ঞান করতঃ আসামী শিশির আহাম্মেদ ভিকটিমের নাক মুখে স্কচ ট্যাপ দ্বারা মোড়ায়ে ভিকটিমের শ্বাসরোধ করতঃ ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে অত্র মামলার ঘটনাস্থলে লাশ গুম করার জন্য ফেলে রাখে ও ভিকটিমের গায়ের কাঁপড় খুলে ঘটনাস্থলের পাশে আরেকটি পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে এবং ভিকটিমের মোবাইল টি সিম খুলে আসামীর বসত কক্ষে ইটের নীচে পুতে রাখে।