আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১২:৪৪

যশোর নড়াইল সড়কে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতায়।

যশোরে পুলিশ পরিচয়ে মঈন উদ্দিন (২৮) নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩১ হাজার ৮শ টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন ও ট্যাব ছিনতাই করে নিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। ২১ নভেম্বার রাত ৭টার দিকে বাঘারপাড়া থানাধীন দাতপুর কেপি ব্রিক্স এর সামনে যশোর-নড়াইল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মঈন উদ্দিন অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে আসামি করে যশোরের বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মঈন উদ্দিন,যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।

বাঘারপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে-বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ব্যবসায়ীক কাজে যশোর ঝুমঝুমপুর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নড়াইল যাচ্ছিলেন। যশোর-নড়াইল সড়কের বাঘারপাড়া উপজেলা দাঁতপুর গ্রামে কেপি ব্রিক্সের সামনে পৌঁছালে পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত হ্যান্ডকাফসহ অজ্ঞাতনামা ৪ জন পুলিশ পরিচয়ে পথরোধ করে। তারা দুইটি মোটরসাইকেলে ছিলে। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়ানো মাত্রই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বলেন আপনার নামে থানায় ‘অস্ত্র মামলা আছে। আপনি রাস্তার পাশে দাঁড়ান, আপনাকে চেক করা হবে। এই বলে পুলিশ পরিচয়দানকারীরা তার মোটরসাইকেল এর সামনে তাকে ঘিরে ধরে এবং জোরপূর্বক পাকা রাস্তার মাঝে নিয়ে যায় এবং ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিনের ঘাড়ে থাকা দুইটি ট্রাবেল ব্যাগ ধরে। তখন অপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ধারালো চাকু দিয়ে তার পেটে আঘাত করতে যায়। জীবন বাঁচাতে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তার ঘাড়ে থাকা দুইটি ট্রাবেল ব্যাগ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ছিনিয়ে নেয়। ঐ সময় অজ্ঞাতনামা ৪ ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল যোগে নড়াইলের দিকে যেতে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত এই ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন জানিয়েছেন, ট্রাবেল ব্যাগের মধ্যে তার ৩১ হাজার ৮শ টাকা, ২ টি স্মার্ট ফোন, ১টি ট্যাব ও ৩ টি বাটন ফোন ছিলো। তখন ডাক-চিৎকারে স্থানীয় আবু তাহেরসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসেন। বিষয়টি পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দেন শুক্রবার রাতে। মঈন উদ্দিনের যশোর শহরতলী ঝুমঝুমপুর বর্ডার গার্ড স্কুল রোডে একটি মোবাইল ব্যাংকিং এর দোকান রয়েছে।

এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

আরো সংবাদ