মুনতাসির মামুন।। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আহত কিশোরদের। তারা অভিযোগ করে, সহকারী পরিচালকের নির্দেশে তাদেরকে পিটিয়েছে কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা। তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী আরও ১০ জন ছিল। এমনকি তাদের ক্রসফায়ার দেয়ার হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ কিশোরদের।
যদিও সংশোধনাগারের প্রশিক্ষক মুশফিক জানান, কয়েকদিন আগে কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওই ঘটনার জেরে আবারও সংঘর্ষ হয়। মারা যায় নাইম, রাব্বি এবং রাসেল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের নৃশংস এ ঘটনার সূত্রপাত গেল ৩ আগস্ট। এদিন কেন্দ্রের প্রধান নিরাপত্তা কর্মী নূর ইসলাম কয়েকজন কিশোরকে তার মাথার চুল কেটে দিতে বলেন। তারা রাজি না হওয়ায় ওই নিরাপত্তা কর্মী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তারা মাদকাসক্ত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোর বন্দিদের কয়েক জন নূর ইসলামকে মারপিট করে। ভুক্তভোগী কিশোররা জানায় এই কথা।
এই ঘটনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ১৮ জন কিশোরকে উন্নয়ন কেন্দ্রের দপ্তরে ডেকে নিয়ে মারপিট করা হয় নৃশংসভাবে। চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন।
ঘটনার পর থেকে তথ্য অনুসন্ধানে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে পুলিশের কাছেও। গঠন করা হবে উচ্চতর তদন্ত কমিটি এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি একপাক্ষীক। ঘটনাটি প্রায় ছয় ঘণ্টা পর জানা গেছে। কেনো এমন ঘটনা ঘটেছে তা পুলিশ তদন্ত করবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তদন্ত হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহানুর রহমান বলছেন, পিটুনিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আহত যে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে তাদের সবারই একই অবস্থা। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।
এ ঘটনার পর থেকে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র ও আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।