ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে যশোর সদর উপজেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার চাঁচড়া ও হৈবতপুরে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী অফিস, পোস্টার পোড়ানো ও প্রচার মাইক ভাঙচুর হয়েছে। বিদ্রোহী দমনে চালানো তান্ডবে ইউনিয়নগুলোয় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গতকাল চাঁচড়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরসহ তার পোষ্টার পুড়িয়ে দেয়া হয়। ইউনিয়নটির তপস্বীডাঙ্গা, মাহিদিয়া, বাগেরহাট, গোয়ালদাহ ও সাড়াপোল গ্রামে লাঠিাসোটা নিয়ে মহড়া দেয় নৌকার প্রার্থীর লোকজন। এদিন রাতে ভাতুড়িয়ায় আনারস প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ফুলের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আনারস প্রতীকের প্রার্থী শামিম রেজা জানান, ভাতুড়িয়ার তার একটি নির্বাচনী কার্র্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিনের বিভিন্ন স্থানে টাঙানো পোষ্টার পুুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
চাঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার ওয়াজেদ আলী মোড়ল জানান, গত রাতে বেড়বাড়িতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হককে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। সাড়াপোলে মারপিটের শিকার হয়ে ৫ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে সেলিম রেজা পান্নুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এসব ঠিক নয়।
এদিন হৈবতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হরেন বিশ্বাসের মটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার গাড়িতে হামলা হয়। তার মাউথ স্পিকার ও ৩০০ পোস্টার ছিনিয়ে নেয়া হয়। প্রচার গাড়ির চালকসহ তিনজনকে লাঞ্ছিত করে হামলাকারীরা। শনিবার বিকেলে নাটুয়াপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হরেন বিশ্বাস জানান, নাটুয়াপাড়ায় মটরসাইকেল প্রতীকের প্রচার গাড়ি গেলে নৌকার সমর্থক ছোট হৈবতপুর গ্রামের ইমরান ও রহমতপুর গ্রামের মেহেদির নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারা এ সময় গাড়ির চালক শাকিল ও মটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী রহমতপুর গ্রামের শান্টু ও রবিউলর ইসলামকে লাঞ্ছিত করে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সিদ্দিকের দাবি, তার কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।