আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:০৯

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে বরাদ্দকৃত মাছ মাংস থাকলেও বরাদ্দকৃত সব পান না রোগীরা

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সরকারিভাবে সরবরাহ খাবারের তালিকায় উল্লেখ রয়েছে প্রত্যেক রোগী দুপুরে ২০০ গ্রাম চালের ভাত, ৮০ গ্রাম মাছ অথবা মুরগীর মাংস ও ডাল পাবেন ২০ গ্রাম। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। দুপুরের খাবারে প্রতি রোগীকে দেয়া হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম মাছ অথবা মুরগীর এক টুকরো মাংস। আর ভাত জোর হলেও দেয়া হয় ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম। এছাড়া ডালের পরিমান খুবই কম। এমনটা জানিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, দুপুরের খাবার ছাড়াও সকালের নাস্তা ও রাতের খাবারে বিতরণেও করা হচ্ছে অনিয়ম। সিভিডি রোগীদের প্রতিদিন ১৪৫ গ্রাম দুধ ও ২৫ গ্রাম চিনি দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও ঠিকমতো পাচ্ছেন না।

সরকারি এই হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনিয়মের বিষয়ে হাসপাতাল জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জোরালো আলোচনা, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের পরও খাবার সরবরাহে অনিয়ম থেমে থাকেনি। দুই বেলায় সামান্য পরিমাণে পোল্ট্রি মুরগীর মাংস নতুবা ছোট সাইজের এক টুকরো মাছ দিয়ে নামমাত্র খাবার বিতরণ করা হতো। সকালের নাস্তায় ১ টি কলা, ছোট সাইজের ডিম ও পাউরুটি দেয়া হতো রোগীদের। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য আলাদা খাবার দেয়ার নিয়ম থাকলেও মানা হয়নি। সকল রোগীকে একই খাবার বিতরণ করা হয়। রোগীদের পরিমাণে কম ও নিম্নমানের খাবার দেয়ার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার ভয়ে ওয়ার্ডে ছিলোনা খাবারের পরিমান উল্লেখ করা কোন তালিকা।

হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় এই হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদানের পর খাবারের অনিয়ম বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রোগীদের সঠিক পরিমাণে উন্নত খাবার বিতরণ নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক খাবাবের নতুন তালিকা তৈরি করেন। ২৯ জানুয়ারি প্রতিটি ওয়ার্ডে খাবারের তালিকা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ১ ও ২ নম্বর খাদ্য প্রাপ্ত রোগীদের প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ১০০ গ্রামের পাউরুটি, ২টি কলা ও ১টি ডিম ও ৬ নম্বর খাদ্য প্রাপ্ত রোগীদের (ডায়াবেটিকস) ৩টি আটার রুটি ও ২টি ডিম।

আরো সংবাদ