মুনতাসির মামুন।। যশোরের পূর্ব বারান্দীপাড়া লিচুতলা মালোপাড়ায় আলাউদ্দিন হত্যার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের পিতা আরবপুর কলুপাড়ার বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া শুকুর আলী ৭জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো, ঝুমঝুমপুর কুমারপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে শুভ (২৪), বারান্দীপাড়া টাউয়ার মোড়ের রাজ্জাকের ছেলে শাহারাজ (২৬), বারান্দীপাড়া মোল্লাপাড়ার শামীমের ছেলে শরীফ (২২), বদরুদ্দীনের ছেলে রিপন (৩০), শরিফের ছেলে রাজ বাবু (২৫), একই এলাকার বাপ্পী (২৭) এবং হেদায়েত (৩০)।
এদিকে এই হত্যা মামলার রিপনকে আটকের সংবাদ পাওয়া গেছে। কিন্তু পুলিশ আটক রিপনের বিষয়ে কিছুই জানাননি। অভিযান শেষ হলে নাম পরিচয় জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক তুষার কুমার মন্ডল।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শুকুর আলীর আরবপুর মোড়ে একটি খাবার হোটেল আছে। নিহত আলাউদ্দিন (২০) ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে একটি মোবাইল ফোন পেয়ে আলাউদ্দিন বাড়ি থেকে বারান্দীপাড়ার দিকে চলে যায়। সকাল ১০টার দিকে ওই এলাকার এ ওয়ান স্কুলের দক্ষিণ পাশে মদন কুমারের বাড়ির সামনে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে ৬ জন দুইটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য হত্যাকারীদের মধ্যে কয়েকজন একটি ইজিবাইকে করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলাউদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে ছেলের লাশ দেখতে পান।
পুলিশের একটি সূত্রে জানাগেছে, ঘটনার সময় আসামি রিপন আহত আলাউদ্দিনকে একটি ইজিবাইকে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চালকের কাছ থেকে নিহতের পিতা সংবাদ পায়। পুলিশ রিপনকে আটক করেছে। তার কাছ থেকে বাকি আসামিদের নাম পরিচয় পেয়েছে পুলিশ।