আজ - শুক্রবার, ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - রাত ১০:৫৫

যশোরে ছাত্রদল নেতা হত্যার বিচার চেয়ে মামলা।

যশোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি কলেজের ছাত্র হাশেম আলীকে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই যশোর সদরের শ্রীপদ্দী ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়েছি কিনা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী তাহমীদ আকাশ।

আসামিরা হলো, যশোর সদরের শ্রীপদ্দী ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃত তবজেল মোড়লের ছেলে নজর আলী খোকা, চাউলিয়া গ্রামের মৃত আলী বিশ্বাসের ছেলে কাশেম বিশ্বাস, সামাদ কলুর ছেলে মিজানুর রহমান ভুট্টো, মুস্তা মাস্টারের ছেলে রিপন হোসন, নূর আলী বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন ও শাহবাটি গ্রামের মৃত জব্বার গাজীর ছেলে শাহাবুদ্দিন গাজী।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের শ্রীপদ্দী ঘোড়াগাছা গ্রামের মোশারেফ হোসেনের ছেলে যশোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন হাশেম আলী। আসামিরা ছাত্র ও যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিলো। তারা নদী থেকে বালু তুলে বিক্রি করত। হাশেম আলী নদী থেকে বালু তোলার প্রতিবাদ জানিয়ে বালু তুলতে নিষেধ করেছিল আসামিদের। এতে আসামিরা হাসেম আলীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শায়েস্তা করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট হাশেম আলী কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে চাউলিয়া হইওয়ে তেল পাম্পের সামনে থেকে হাশেম আলীকে আসামিরা অপহরণ করে শাহাবুদ্দিন গাজীর বাড়ি নিয়ে যায়। এরপর আসামিরা তাকে মারপিট ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে হাশেম আলী আর ছাত্রদল করবে না বলে আসামিদের আঙ্গীকার করলে তাকে মুক্তি দেয়। গুরুতর আহত হাশেম আলীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে আসামিরা ষড়যন্ত্র করে হাশেম আলীকে নাশকতা মামলার আসামি করে দেয়। হাশেম আলী উন্নত চিকিকৎসা ছাড়াই পুলিশের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে যায়। একপর্যায়ে হাশেম আলী পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে বন্দি থাকে। হাশেম আলী কারাগারের ভিতর অসুস্থ হয়ে পড়লে জামিনে মুক্তি পায়। গুরুতর অসুস্থ হাশেম আলীকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসা গ্রহনের পর হাশেম আলীকে ঢাকা ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর মারা যায়। ঘটনার পর থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দিলে আসামিদের ভয়ে মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনকুলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত