আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৩০

যশোরে দুই আইনজীবীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা।

যশোরের সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি) ও এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে এবার পাল্টা চাঁদা দাবি ও মারপিটের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকার শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলাটি করেছেন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কবির মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সরকারি আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহজাহান কবীর খান বিপ্লব।

বাদী মামলায় জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষিত একজন বেকার মানুষ। কোন চাকরি না হওয়ায় বর্তমানে জীবিকার তাগিদে যশোর শহরের দড়াটানা এলাকার জেলা আইনজীবী সমিতির দুই নম্বর ভবনের সামনে ফুটপাতে টেবিলের উপর কাপড়ের ব্যবসা করেন। ঘটনার দিন গত ১০ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আসেন অভিযুক্ত ওই দুই ব্যক্তি। প্রথমেই তারা সেখানে এসে বাদীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পাশাপাশি প্রতিমাসে আরো দুই হাজার টাকা করে দিতে হবে। বাদী চাঁদার টাকা দিতে রাজি না হলে সেখান থেকে টেবিল উঠিয়ে নিতে হবে নইলে অভিযুক্ত কবীর হোসেন জনির কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।

এসময় আশপাশের ব্যবসায়ীরা এসে বাদীকে অভিযুক্তদের হাত থেকে রক্ষা করেন। এরপরে পুরাতন কসবা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে আবারও বাদীর উপরে হামলা করে। এরই মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন সেখানে এসে গাড়ি থেকে নেমে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে সেখানে আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে এই মামলাটি করেছেন। মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি বলেছেন, এই মামলাটির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই মামলার বাদী শাহিন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে এর আগে একটা মামলা করা হয়েছিল। সে কারণে এই মামলাটি করা হয়েছে।

আরো সংবাদ