আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:০৩

যশোরে প্রবাসীকে থানায় আটকে ঘুষ দাবি-এসআই অনিল কী ক্লোজড?

যশোর প্রতিনিধি :  যশোরের চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনিল মুখার্জির বিরুদ্ধে এক প্রবাসীকে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও পুলিশ চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, মামলার এজাহারে ভুল হওয়ায় বাদীকে না পাওয়ায় আসামি আনিসুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আসামি স্বজনদের দাবি, পুলিশ দেড় লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। দিতে রাজি না হওয়ায় বিনা কারণে আটকে রাখা হয়। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানালে বিপাকে পড়ে থানা পুলিশ। এরপর একজনের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করার গুঞ্জন শোনা গেলেও চৌগাছা থানার ওসি অস্বীকার করেছেন।

জানা যায়, যশোরের চৌগাছা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন আব্দুল হাকিমের ছেলে আনিসুর রহমান। তিনি দীর্ঘদিন মালোয়েশিয়ায় ছিলেন। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) দেশে ফেরেন। এরপর  রোববার (১২ নভেম্বর) তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান চৌগাছা থানার এসআই অনিল মুখার্জি। থানায় নেওয়ার পর আনিসুরের কাছে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। দিতে রাজি না হওয়ায় মিথ্যা নাটক সাজানো হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় চৌগাছা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মোহাম্ম রকিব বিদেশ যাওয়ার জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছে। কিন্তু বিদেশ না নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। এজন্য তাকে আটক করা হয়েছে। অথচ আনিসুর কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেননি। পুলিশের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় আনিসুরকে ২৪ ঘন্টা থানায় আটকে রাখা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে  আটক আনিসুরের ভাইয়ের স্ত্রী আসমা খাতুন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি খুলে বলেন। এরপর তড়িঘড়ি করে পুলিশ নতুন নাটক সাজায়। এক পর্যায়ে আটক আনিসুরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী আনিসুর বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে বিদেশ পাঠানোর নাম করে টাকা নেইনি। ওনারা টাকা দিয়েছেন আদম ব্যবসায়ীদের কাছে। আমার কাছে নয়। আমাকে ভিকটিম বানানো হচ্ছে।’

চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, আনিসুর বিদেশে লোক পাঠানোর  নামে মোহাম্মদ রাকিব নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আনিসকে আটক করে আনে এসআই অনিল। কিন্তু বাদীর এজাহারে ঠিকানা ভুল ছিল। বাদী খুঁজে না পাওয়ায় আটক আনিসুরকে ২৪ ঘন্টা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। কিন্তু বাদী না পাওয়ায় আনিসুরকে স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেন ওসি খন্দকার শামীম। তিনি বলেন, এসআই অনিল  ক্লোজড হয়নি। এসপি স্যার তাকে ডেকেছেন। পরবর্তীতে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন

আরো সংবাদ