যশোর শহরের উপশহর বাবলাতলা মাইক্রো স্ট্যান্ডের পেছনে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহত মিরাজ জমাদ্দারের (২৬) বড় বউ সাথী বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামি করা হয়েছে মিরাজ জমাদ্দারের ছোট ভাই ইয়াসিন জমাদ্দার ইরানকে (২৪)। তিনি যশোর উপজেলার পাগলাদাহ মাঠ পাড়ার মনিক জমাদ্দারের ছেলে।
এজাহারে সাথী উল্লেখ করেছেন, তিনি তার স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি নিয়ে পাগলাদহ গ্রামে বসবাস করেন। তার দেবর ইরানও ওই গ্রামে বসবাস করেন। তার স্বামীর ছোট স্ত্রী রেহেনা খাতুন (২৩) বাবলাতলা মাইক্রোস্ট্যান্ডের পেছনে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন তার ননদ ময়না বেগম। গত শুক্রবার ময়না প্রত্যেককে দাওয়াত দিলে তিনি, শ্বশুর শাশুড়ি, মিরাজ জমাদ্দার, ইরান জমাদ্দার, ইরানের স্ত্রী, অপর তিন ননদ ওই বাড়িতে যান। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় আগে থেকে দেবর ইরানের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়। শুক্রবার ওই বাড়িতে দুপুরে গোসলের জন্য তার স্বামী মিরাজ টিউবওয়েলে পানি তুলে দেয়ার জন্য বললে তার সাথে দেবর ইরানের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি হয়। সে সময় ইরান একটি চাকু দিয়ে তার স্বামী মিরাজের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মিরাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে বিকেলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিরাজ সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে মারা যান।
এদিকে মিরাজ হত্যার এক মাত্র আসামি তার ছোট ভাই ইরানকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইফুল মালেক জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে ইরান পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।