যশোর-খুলনা মহাসড়কের মনিহার থেকে মুড়লি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কের দুপাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই অভিযান শুরু করে। এতে নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিনিয়র সহকারি সচিব (সম্পত্তি ও আইন) অনিন্দিতা রায়।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে মুড়লি মোড় ও বকচর এলাকা থেকে এই অভিযান শুরু হয়। অভিযানে পাঁচ শতাধিক দোকান, বসতবাড়ি ও বিভিন্ন যানবাহনের গ্যারেজ ভাঙা পড়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জোনের স্টেট অফিসার সিনিয়র সহকারী সচিব অনিন্দিতা রায় বলেন, যশোরের পালবাড়ির মোড় থেকে মুড়লি মোড় পর্যন্ত বিদ্যমান আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে দু’মাস আগে সড়কের পাশে অবৈধ দখলদারদের তাদের স্থাপনাসমূহ সরিয়ে নিতে লাল নোটিস ও মার্কিং করা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়। যশোর মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মুড়লি মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার এলাকায় ৫টি বুলডোজার দিয়ে একযোগে রাস্তার দু’পাশেই অভিযান চালানো হচ্ছে।
উচ্ছেদ চলাকালে কোনো প্রকার বাধার সম্মুখীন হইনি। কিছু জমিতে কাগজপত্র জটিলতা থাকায় উচ্ছেদের বাইরে রাখা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে সেগুলো বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ করা হবে। চলমান উচ্ছেদ কার্যক্রমে পাঁচ শতাধিক দোকান, বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ভাঙা পড়বে। এদিকে, উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা।
তারা জানান, যেসব স্থাপনা ভাঙা হয়েছে তা সবটাই সরকারি জমিতে ছিল। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়ক প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল অবস্থায় ছিল এবং যানজট ছিল নিত্যকার ঘটনা। অভিযান চলাকালে র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।