আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - দুপুর ১:৪৬

যশোরে মাঠ জুড়ে বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে

হাসিবুল ইসলাম শান্ত, যশোর।। যশোর জেলার ০৮ উপজেলার সর্বত্র মাঠের পর মাঠ জুড়ে বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী শীষ দোল খাচ্ছে।চলতি বোরো মৌসুমের এ পর্যন্ত ধানের আবাদ ভালো হওয়ায় খুশি যশোরের হাজারো কৃষক।যশোর সদর, শার্শা, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, অভয়নগর, বাঘারপাড়া, মনিরামপুর, কেশবপুর, উপজেলার মাঠের পর মাঠ যেদিকেই তাকানো যায় বোরো ধানের সবুজ ও সোনালী শীষের সমারোহ চোখে পড়ে।এ মৌসুমের আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটাও শুরু করেছেন অনেক কৃষক। তবে পুরোদমে ধানকাটা শুরু হবে সপ্তাহখানেক পরে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত যশোর জেলায় গত মওসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষাবাদ বেড়েছে।জেলার ০৮ উপজেলায় এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৭ হাজার ২শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে, শার্শা উপজেলায় ২৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে, ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৮ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে। চৌগাছা উপজেলায় ১৮ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে, অভয়নগর উপজেলায় ১২ হাজার ২শ’হেক্টর জমিতে , বাঘারপাড়া উপজেলায় ১২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে , মনিরামপুর উপজেলায় ২৬ হাজার ৯৬৫ হেক্টর জমিতে , কেশবপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় কৃষকেরা বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে।মানভেদে বর্তমানে প্রতিমণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়। ধানের দাম সন্তোষজনক হওয়ায় খুশি কৃষকেরা।ধান কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌওসুমে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যশোর সদর উপজেলার জয়ান্তায় গ্রামের কৃষক  রহিম হোসেন বলেন, আমার একটা মেশিনে প্রায় ০৫ একর জমি বোরো চাষাবাদের আওতায় এসেছে।এসব জমিতে ভালো ধান হয়েছে। ছিলুমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সুলতান আহম্মেদ জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। হাটবাজারে নতুন ধান উঠা শুরু হয়েছে। প্রতিমণ ধানের বর্তমান বাজারমূল্য ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা।
জেলার অভয়নগর উপজেলার ধলিরগাতী গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, বিলে আগাম রোপণকৃত জমির পাকা ধান কাটা ইতোমধ্যে শুরু করেছেন তারা। তবে আগামী মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ বেশির ভাগ জমির ধান কৃষকের ঘরে উঠে যাবে। এবছর সারের কোনো ঘাটতি হয়নি। ধানের আবাদ যেমন ভালো, দামও বেশ ভালো বলে জানান তারা।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত