আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১১:১০

যশোরে যাবজ্জীবন সাজার দুই দশক পর সর্বোচ্চ আদালতে খালাস

দুই দশক আগে যশোরের এক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজায় দণ্ডিত শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে খালাস দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

শফিকুল ইসলামের আপিল গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।

যদি শফিকুল কারাগারে থেকে থাকেন তবে তাকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। সেই সঙ্গে এ মামলার গোটা বিচার প্রক্রিয়াকে একটি ‘বিগ মিসটেক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে রায়ে।

খালাস পাওয়া শফিকুল ইসলাম পেশায় ছিলেন নাপিত। ১৯৯৬ সালে রওশন আলী নামে অন্য এক নাপিতকে হত্যার অভিযোগে জজ আদালতে তার যাবজ্জীবন সাজার রায় হয়।

বুধবার আপিল বিভাগের রায়ের সময় রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আপিলকারী শফিকুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

বিশ্বাজৎ দেবনাথ পরে সাংবাদিকদের বলেন, শফিকুল যখন ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন, সেখানে তার বয়স লেখা ছিল ১৬ বছর। অভিযোগ গঠনের সময় ছিল ১৬ বা ১৭ বছর।

“মামলাটা হয়েছিল নিয়মিত আদালতে। এই বিষয়গুলো আপিল বিভাগের নজরে এসেছে। শুনানি শেষে মামলার মেরিট এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার আপিল গ্রহণ করেছে, অর্থাৎ তাকে খালাস দিয়েছে। খালাসের একটি প্রাথমিক অর্ডার পাঠানো হয়েছে।”

১৯৯৬ সালে ১৫ বছর বয়সী রওশন আলীকে হত্যা দায়ে একই এলাকার ১৬ বছর বয়সী শফিকুল ইসলামসহ তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয় জজ আদালত। ২০০০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই রায় হয়।
দ-িতরা সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করেন। পরে ২০০৭ সালের ৭ মে সাজা বহাল রেখে রায় দেয় হাই কোর্ট।

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে লিভ টু আপিল ও পরে আপিল করেন শফিকুল ইসলাম। সেই আপিলটি শুনানির জন্য উঠলে তা গ্রহণ করে বুধবার রায় দিল আপিল বিভাগ।

তবে এ মামলায় দণ্ডিত বাকি দুই আসামির ক্ষেত্রে কী ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্ববিজৎ দেবনাথ।

আরো সংবাদ