আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৯:১১

যশোরে রমজান ও ঈদ উপলক্ষে টিসিবি পণ্য পেয়েছে লক্ষাধিক পরিবার

পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে যশোরের লক্ষাধিক পরিবার কমদামে টিসিবির পণ্য পেয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জেলাব্যাপী এসব পণ্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গরীব পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়। যা পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন এসব পরিবারের সদস্যরা।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মণিরামপুর উপজেলায় পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯১৪ পরিবার ও সবচেয়ে কম পেয়েছেন ঝিকরগাছা উপজেলায় ১০ হাজার ৫১টি পরিবার।
সরকার দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় এনে কম দামে টিসিবি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা চালু করে। বাজার দরের তুলনায় কম দামে নিত্যপ্রয়েজনীয় বিভিন্ন পণ্য টিসিবি’র ট্রাক থেকে মানুষ কিনতে পেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছিল। কিন্তু এসব পণ্য বিক্রিতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকায় নানা রকম জটিলতা হচ্ছিল। এ পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে পরবর্তীতে সরকার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা তৈরি করে কার্ডের ব্যবস্থা করে। জেলা প্রশাসন গোটা এ প্রক্রিয়ার তত্ত্বাবধান করে। গত মার্চ মাস থেকে যশোরে কার্ডের মাধ্যমে কম দামে টিসিবির পণ্য কিনতে পারছে গরীব মানুষ। প্রথম পর্যায়ে এ বিক্রি শেষ হয় গত ৩০ মার্চ। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে।
রমজান ও ঈদের ৫৬০ টাকার এ প্যাকেজে ছিল ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি ছোলা ও ২ লিটার তেল। গত ২০ এপ্রিল এ প্যাকেজের শেষ হয়। এসময়ে যশোরের আটটি উপজেলা ও পৌরসভা এলাকার এক লাখ ২০ হাজার ৯৮৩টি পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হয়েছে। অনেকটা কম দামে এসব পণ্য কিনতে পেরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে দ্বিতীয দফায় পণ্য বিক্রির সময় টিসিবি ডিলাররা ক্রেতাদের কাছ থেকে তাদের কার্ড নিয়ে নিয়েছে। বলা হয়েছে, এ কার্ডের কার্যকারিতা আপাতত শেষ হয়েছে। ক্রেতা ও তাদের মালামালের হিসেব সম্পন্ন করার জন্য কার্ডগুলো তারা ক্রেতাদের কাছে নিয়ে নিয়েছে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ও শেষ পর্যায়ে যশোর সদর উপজেলা এলাকার ১৭ হাজার ৫১০টি পরিবার টিসিবির পণ্য কিনতে পেরেছেন। শার্শা উপজেলা এলাকায় কিনেছেন ১৪ হাজার ৮৫৭ পরিবার, ঝিকরগাছায় ১০ হাজার ৫১, চৌগাছা উপজেলায় ১০ হাজার ৯৫৭, বাঘারপাড়ায় ১০ হাজার ৪৭৭, অভয়নগরে ১১ হাজার ৪১৬, মণিরামপুরে ১৮ হাজার ৯১৪, কেশবপুরে ১৪ হাজার ৪৪৫ পরিবার টিসিবি পণ্য কেনার সুবিধা পেয়েছেন। এরমধ্যে যশোর পৌরসভা এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের  ১২ হাজার ৩৫৬টি পরিবার টিসিবি পণ্য সুবিধার আওতায় এসেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এসব পণ্য গত ৭, ৯, ১০, ১২, ১৬, ১৯ ও ২০ এপ্রিল সাতদিনব্যাপী বিক্রি করা হয়। যশোরসহ আটটি উপজেলাব্যাপী টিসিবি ডিলাররা ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করেন।
টিসিবি পণ্য বিক্রির তত্ত্বাবধানকারী যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, টিসিবি পণ্য বিক্রির দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এসময়ে যশোরের লক্ষাধিক নিম্ন আয়ের পরিবার কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরেছেন। পণ্য বিক্রির সময় ডিলাররা ক্রেতাদের কাছ থেকে কার্ড নিয়ে নিয়েছেন। আগামীতে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরুর আগেই ক্রেতাদের ফের নতুন কার্ড প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

আরো সংবাদ