মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির প্রায় ২৬ দিন পর লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মাহফুজুর রহমান। গত ২৬ এপ্রিল যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ের মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় তাকে।
শনিবার (২২ মে) নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তার মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। মাহফুজুর রহমান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মাহফুজুর রহমানের মরদেহটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় লোকজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি দেখে বিভিন্ন স্থানে বার্তা পাঠায়। এরই মধ্যে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এতে তাকে শনাক্ত করেন। মাহফুজুর রহমানের হাতে একটি কামড়ের দাগ আছে।
এদিকে মাহফুজুর রহমানের ফুফু রাবেয়া বেগম বলেন, মাহফুজুর রহমান নেশাগ্রস্ত হওয়ায় তাকে পরিবারের পক্ষ থেকে গত ২৬ এপ্রিল যশোরের চারখাম্বা মোড়ের মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরের দিকে মাহফুজুর রহমান মারা যায়। তবে নিরাময় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ঝামেলা এড়াতে মাহফুজুর রহমানের মরদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেছেন, উদ্ধার হওয়া মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে আপাতত অপমৃত্যু মামলা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট