মুনতাসির মামুন।। শনিবার যশোরে আরো ১০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। শনক্তদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রয়েছেন।এরআগে তার একবছরের মেয়ে, স্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার যবিপ্রবি থেকে আসা’৭২ নমনুার ফলাফলে ৬৯জন শনাক্ত হয়েছেন।শনাক্তদের ১০জনই সদরের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র রেহনেওয়াজ রনি। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে যশোরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫৬৯ পৌছেছে। এ ছাড়া সুস্থ্য হয়েছেন ৭৯৬ জন। মৃতের সংখ্যা ২২ । আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউনের কার্যক্রম চলছে । এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে যশোর পৌর সভার চার নং ওয়ার্ডের পালবাড়ী এলাকার এনজিও কর্মী মোস্তাফিজুর, কাজীপাড়া মানিকতলার ওয়ালিউল। তিনি যশোর ব্রাক ব্যাংকে চাকরি করেন। ৫ নং ওয়ার্ডের কারবালা এলাকার ব্যবসায়ী এনামুল করীম(৫১), টালী খোলা এলাকার সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, ৬ নং ওয়ার্ডের ষষ্টীতলা এলাকার রবীন(৪২)।এছাড়া নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামের সফিউর। তিনি ডিসি অফিসে চাকরি করেন।এদিন কুঞ্জ (২৪) ও সোলাইমানের (৫২) সন্ধান পাওয়া যায়নি। এছাড়াও এদিন অনীল(৫৬) কে ঝিনেইদহ ,মেহেদি(২৮) কে সাতক্ষীরা ও রফিকুলকে রাজবাড়ীতে রেফার করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে এক বিবৃতি দিয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম। বিবৃতিতে তিনি বলেন কামরুজ্জামান এজন মেধাবী চৌকস জনবান্ধন কর্মকর্তা। সততা আর বস্তুনিষ্ঠতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের ইউএনও। করোনা পরিস্থিতিতে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে রাতদিন ২৪ টি ঘন্টা তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন। আমি মহান আরশের মালিকের নিকট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সহ কোভিড-১৯এ আক্রান্ত সকলের আশু রোগমুক্তি কামনা করি।