আজ - মঙ্গলবার, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ১০:৫০

যশোরের মণিরামপুরে ৩ সহস্রাধিক পরিবার সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী

যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার রুহিতা, মশ্মিনগর ও চালুয়াহাটী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৩ সহস্রাধিক পরিবার সবজি চাষ করে এখন স্বাবলম্বী। 
এ তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে বছরের বারো মাস সবজি চাষ হয়ে থাকে বলে কৃষি বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এখানকার কৃষকেরা মাঠের পর মাঠ সবজি চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বলে জানান, মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান। 
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার শাহপুর ও হায়াতপুর সবজি চাষের জন্য উপযোগী মাঠ। বারো মাস সবজি চাষে উপযোগী এ দু’গ্রামের মাঠের পর মাঠ সবজির ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সবজি চাষিদের সঠিক পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হয়ে থাকে। এ দ’ুটি গ্রাম ছাড়াও রুহিতা,মশ্মিনগর ও চালুয়াহাটী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সবজি ক্ষেতগুলো ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, ঢেঁড়স, মুলা, লাউ, শিম, বরবটি, ক্ষীরা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, লালশাক, পালংশাক, কলা, বেগুন, শসা, মেটে আলু, ডাটা, পটল, ঝিংগা, উচ্ছে, কাকরোল, গাজর, চিচিংগা, কাঁচাঝাল, ওলসহ বিভিন্ন ধরণের বারোমাসি সবজিতে ভরপুর। এখানে  নিরাপদ ও বালাইমুক্ত সবজি উৎপাদিত হচ্ছে। এখানে সবজি চাষে জৈব সার ব্যবহার করা হয় বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হাসান।
শাহপুরের সবজি চাষি ইকবাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রাহাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, নুর ইসলাম, আতিয়ার রহমান, লুৎফর রহমান বলেন বছরের বারো মাস বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে আমরা অনেকটা স্বাবলম্বী হয়েছি। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করি। বর্তমান সময়ে সবজির দাম ভালো পেয়ে খুব খুশি আমরা। সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর, খুলনা ও ঢাকার বাজারে সরবরাহ করা হয় বলে জানান তারা। রাজগঞ্জ হাট-বাজারে শাহপুর ও হায়াতপুরের কৃষকরাই তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য এনে পাইকারি বিক্রি করেন। রাজগঞ্জ হাট-বাজার থেকে পাইকারি দরে সবজি কিনে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় নিয়ে যান সবজি ব্যবসায়ীরা।
রোহিতা ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এসএম মারুফুল হক জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সবজি চাষিদের সবধরণের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া নতুন জাত ও নতুন ফসল সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে প্রর্দশনী প্লটও স্থাপন করা হয় বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, মণিরামপুরের বিভিন্ন গ্রামের মাঠে দৃষ্টি নন্দন সবজি চাষ হচ্ছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যশোর জেলা শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি বিক্রি হয়ে থাকে।

আরো সংবাদ