নিজস্ব প্রতিনিধি : যশোরে দুর্বৃত্তের ছুরিতে আহত লিটন হোসেন (২৬) মারা গেছেন। রাত আড়াইটার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে যশোর-খুলনা মহাসড়কের ফুলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে তিনি মারা যান।
এর আগে রোববার রাত পৌনে আটটার দিকে শহরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকায় লিটন ছুরিকাহত হয়েছিলেন। তিনি জামরুলতলার আমিনুর রহমানের ছেলে।
বাবা আমিনুর রহমান ও ফুপাতো ভাই প্রিন্স হোসেন জানান, এলাকার আল আমিনের ছেলে সুমনের সঙ্গে লিটনের শত্রুতা ছিল। সুমন তাকে খুন করবে বলেও হুমকি দিয়েছিল। রোববার রাতে লিটন বাসা থেকে বের হয়ে পাশেই জামরুলতলা মোড়ে যায়। এসময় সুমন তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরি মারে। লিটনের চিৎকার শুনে বাসা থেকে বের হয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। খুলনা নেওয়ার পথে ফুলতলায় অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে লিটন মারা যান।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কাজী আলমগীর হোসেন জানান, একই এলাকার আল আমিনের ছেলে সুমনসহ কয়েকজনের একটি মাদক চক্র আছে। তারা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। ওই চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করে সুমন। লিটন হোসেন ছিলেন প্রতিবাদী। তিনি এলাকায় মাদক কেনাবেচায় বাধা দিতেন। এই নিয়ে সুমনের সঙ্গে লিটনের বিরোধ ছিল। লিটনকে হত্যা করবে বলে সুমন কয়েকবার হুমকিও দিয়েছিল। সুমন ৫-৬ মাস আগে লিটনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়, ল্যাপটপও কেড়ে নেয়। এইসব কারণে লিটন খুন হয়েছেন।
কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (অপারেশন) শামসুদ্দোহা খানজাহান অালী24.com কে বলেন, ‘লিটন হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পুলিশ মোটামুটি চিহ্নিত করতে পেয়েছে। আসামি আটকের স্বার্থে তাদের নাম বলা যাবে না। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযানে আছে।