যশোরে আওয়ামীলীগ কর্মী হানিফ হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী শিরিন সুলতানা শুক্রবার রাতে বাঘারপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুলসহ ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, টুটুল দির্ঘদিন ধরে হানিফের কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল যা নিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। ওই দিন সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই তাকে ডেকে নিয়ে যওয়া হয় ইট ভাটায়। পরে সেখানে ডেকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া শিরিন সুলতানা শুক্রবার লাশ নিয়ে যখন যশোর জেনারলে হাসপাতালে এসেছিলেন তখন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন হানিফ রোজা ছিলেন। কামরুল ইসলাম টুটুল তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইফতার করিয়েছিলেন। এরপর প্রচুর মদ পান করার পর তাকে গুলি করা হয়েছে। শিরিন আরও দাবি করেছেন, টুটুল এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।
এরআগে মদ্যপ অবস্থায় হানিফকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এ মামলার প্রধান আসামি টুটুল বুধবার রাত ১২ টার পর যশোর জেনারেল হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যান। এসময় তিনি একেক সময় একে তথ্য দিলেও এক পর্যায় তার গুলি করার বিষয়টি পরিবারকে খুলে বলেন। ঢাকাতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলিম জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে । তদন্ত কর্মকর্তা ভিটাবল্যা ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রোকনুজ্জামান কাজ করছে। মামলার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে বলে মন্তব্য করেন ।