আজ - মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:৩২

যেন এক অন্যরকম মর্মস্পর্শী ঈদ।

ডেস্ক রিপোর্ট।।  বাবার কাছ থেকে ঈদ খরচ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নিয়ে প্রতিবেশিদের সেমাই চিনি মাংস বিলিয়ে দিয়েছেন ৪ সন্তান। ২ কিশোরী ও ২ কিশোর মিলে ঈদে এই চমৎকার আনন্দ উপভোগ করেছেন।  নিজেদের জন্য কেনাকাটা করেনি তাঁরা।  বাবার মুখে শুণেছে অসহায় অনেক মানুষ এবার ঈদ করবেনা।  অনেকে না খেয়ে আছে এমন গল্পেই তাঁদের ঈদ পরিকল্পনা।
বাবার থেকে ঈদ খরচ নিয়ে মা মেরী খাতুন ( ৩২) এর সহায়তায় ৪ ভাইবোন সাদিয়া (১৭),  জুঁই (১৫), জিসান (৯), প্রান্ত (৬) ।  মিলে এমন ভিন্নধর্মী ঈদ উদযাপন করেছেন।
তাঁদের বাড়ীর থেকে ৪০ টি বাড়ী পর্যন্ত ঈদ উপহার হিসেবে সেমাই, চিনি, মাংস, মুরগি ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তারা।
এ ঘটনা এলাকায় তুমুল প্রশংসার জন্মনিলে ঘটনা গিয়ে পৌঁছায় বাবার কানে। সন্তানদের এমন ঈদ উদযাপনের চিত্র যে কোন পিতার হৃদয় অলিন্দ গর্বে ভরে ওঠে কাণায় কাণায়।  এ ক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। একজন বাবা হিসেবে নিজের সন্তানদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন “সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই” সন্তানদের এমন কর্মকান্ডে বাকপটু জনপ্রতিনিধি বাবাও খুশিতে বাক্যহারা।  তাঁর সন্তানদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন তিনি।  বলছিলাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের ছোট্ট সোনামনিদের কথা।
এদিকে বড় ভেকুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কাশেম প্রধান মন্ত্রীর নগদ উপহার পেয়েছেন ২৫০০ টাকা। সেখান থেকে কিছু টাকা দিয়ে ঈদের কেনাকাটাও করেছেন।
দেশের প্রতি চরম মমত্ববোধ থেকে জন্মনেয়া ভালবাসার টানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি মালটা গাছের চারা ও আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের নামে একটি কমলা চারা রোপণ করেছেন তিনি।
কেন করেছেন জানতে চাইলে মুজিব বাহিনীর এই সদস্য জানান,  দেশের চরম ক্রান্তিলগ্নে বিশ্বশান্তি অগ্রদূত মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে একাই সেনাপতির দায়িত্ব নিয়ে কঠোর হস্তে দমন করে চলেছেন সব জঞ্জাল৷  এই ভালবাসা থেকে শ্রদ্ধা বোধ থেকে তাঁর নামে একটি গাছ রোপন করেছি। যদি বেঁচে থাকি ফল হলে আমি নিজে গণভবনে নিয়ে যাব৷
আর শাহারুল এই এলাকার আওয়ামীলীগটা রক্ষা করেছে৷  শেখ হাসিনার মত করে ও এ ইউনিয়নটা আগলে রেখেছে সন্তানের মত দেখি ওকে। করোনার সময় নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ওর  দিনরাত  ছুটে চলা আমাকে অবাক করেছে৷  একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে একজন গর্বিত চেয়ারম্যান করোনাযোদ্ধার প্রতি ভালবাসা থেকে শাহারুল ইসলামের নামে আরেকটি গাছের চারা রোপণ করেছি।

আরো সংবাদ