প্রেমিকের সাথে রাতযাপনের সময় স্ত্রীকে হাতে নাতে ধরেছেন উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন এক স্বামী। মামলায় স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে আসামি করা হয়েছে। একই সাথে বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও সোনার গহনা চুরির অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ইসরাইল হোসেন। অভিযুক্ত তানজিলা ইসলাম দিতি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের ওয়াহিদুল ইসলামের মেয়ে ও তার প্রেমিক মোহাম্মদ সজিব হোসেন একই উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের হাশেম মিয়ার ছেলে।
তানজিলা ইসলাম দিতির স্বামী ইসরাইল হোসেনের অভিযোগ, চাকরি জনিত কারণে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে যশোর শহরের স্টেডিয়াম পাড়া হকার্স মার্কেট এলাকার ভাড়া থাকেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দাওয়াত খাওয়ার জন্য তার স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়ি পাঁচবাড়িয়া গ্রামে ভায়রা হাফিজুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পরিচিত এক ব্যক্তি ইসরাইল হোসেনকে মোবাইল ফোন করে জানান, তার স্ত্রী তানজিলা ইসলাম দিতি প্রেমিক সজিবের সাথে ভায়রা হাফিজুর রহমানের দোতলা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে রাতযাপন করছেন। এ খবর পেয়ে বন্ধু বিল্লাল হোসেনকে সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে পাঁচবাড়িয়া গ্রামে ভায়রার বাড়িতে যান ইসরাইল হোসেন। এ সময় তার ডাকাডাকিতে স্ত্রীর বড় বোন মিতা খাতুন বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং ইসরাইল হোসেনকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এরই এক পর্যায়ে তানজিলা ইসলাম দিতি কক্ষের দরজা খুলে ইসরাইল হোসেনের হাত ও পা জড়িয়ে ধরেন। তখন খাটের নিচে লুকিয়ে থাকা সজিবকে বের করে নিয়ে আসেন ইসরাইল হোসেন ও তার ভায়রার ভাই সাদ্দাম হোসেন। এ সময় তানজিলা ইসলাম দিতি তার কৃতকর্মের জন্য স্বামীর কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু এরই এক ফাঁকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও স্ত্রীর বোনের সহায়তায় দৌড়ে পালিয়ে যান সজিব। পরে বাদী বাড়িতে ফিরে দেখেন তার আলমারিতে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ সাড়ে চারলাখ টাকার সোনার গহনা নেই। যা স্ত্রী ও সজিব চুরি করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেন স্ত্রী দিতি। তিনি দাবি করেন, তার স্বামীর অভিযোগ সবই মিথ্যা। সজিবের সাথে তাদের পারিবারিক সম্পর্ক। এছাড়া টাকা ও সোনা গহনা চুরির বিষয়ে তিনি বলেন, ওইসব কিছু রয়েছে ইসরাইলের কাছে।