যশোর প্রতিনিধি : মেহেদি হাসান রুনু ‘গণপিটুনির শিকার’ বলে দাবি করেছে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। যুবলীগ সদর উপজেলা কমিটির সদস্য রুনু একটি ধর্ষণের ঘটনায় অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় তিনি রোষের শিকার হন বলছে ছাত্রলীগ । আজ দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন কমিটি দাবি করেছে, রুনু চুড়ামনকাটি বাজারে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। বিচার-শালিসের নামে প্রহসন করায় স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়েছে। ঘটনাটির দায় চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে মেহেদি হাসান রুনু মামলা করেছেন; যা নিন্দীয় ও অপ্রত্যাশিত। আজকের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আহাদুজ্জামান নয়ন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমন হোসেন, সদস্য মাহবুর রহমান, নাহিদ হাসান, আল আমিন, প্রান্ত হোসেন, আজিম হোসেন, যুবলীগ সদস্য রায়হান হাসান, সেলিম রেজা প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় চুড়ামনকাটি গ্রামে এক নারী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রাম্য শালিস হয়। এসময় মেহেদি হাসান রুনু ধর্ষিতার বাবাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এসময় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়। ঘটনায় দায় ছাত্রলীগের ওপর চাপিয়েছেন রুনু। শালিসে উপস্থিত না থাকলেও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, সহ-সম্পাদক আল আমিন, সদস্য আশিক, হিমেল, সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোজাম্মেল হকসহ যুবলীগ নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে না দেখে প্রভাবিত হয়ে সে মামলা রেকর্ড করেছে।’
মেহেদি হাসান রুনু শিক্ষক পেটানো, মাদক, ডাকাতি, হত্যাসহ সাতটি মামলার আসামি হলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। এছাড়া ‘সন্ত্রাসী বাহিনীপ্রধান’ মেহেদি হাসান রুনুর অত্যাচার, নির্যাতন থেকে বাঁচাতে এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়।