আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - সকাল ৬:৪২

রূপদিয়ায় ১৮ ফুট সরকারী রাস্তার ৬ ফুট সুদে ইব্রাহিমের দখলে!ভোগান্তিতে হাজারও পথচারী

রাসেল মাহমুদ।। যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাউলিয়া গ্রামের বহু বিতর্কিত সুদে ইব্রাহিম এবার সরকারী রাস্তার উপর প্রাচীর নির্মান করে পথচারী যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রাস্তাটি ব্যবহারকারী শতশত পথচারী।

এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে যেয়ে জানাযায়, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাউলিয়া ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মতালেব মোল্লা ওরফে মতের আলীর ছেলে ইব্রাহিম অরপে সুদখোর ইব্রাহিম নিজ বসতবাড়ির জমি সহ ১৮ ফুটের সরকারী রাস্তার কমপক্ষে ৫ ফুট জায়গা দখলে নিয়ে ইটের উচু প্রাচীর নির্মান করেছে। এর ফলে চাউলিয়া মধ্যপাড়ার প্রায় ৩০টি পরিবারের লোকজন সহ রাস্তা ব্যবহারকারী শতশত পথচারী সরকারী রাস্তাটি ব্যবহার করতে পারছে না।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানাযায়, সুদে ইব্রাহিমের কব্জা থেকে শতশত পথচারী যাতায়াতের সরকারী একমাত্র রাস্তাটি উদ্ধারে চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ সহ গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কয়েক দফা মাপামাপি করেও রাস্তার যায়গাটি এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। ১৮ ফুটে সরকারী রাস্তার ৫/৬ ফুট জায়গায় (সুদে ইব্রাহিম) এর দখলে থাকায় চাউলিয়া মধ্যপাড়ার অত্যান্ত গুরত্বপূর্ণ রাস্তাটি আংশিক ফ্ল্যাট সলিং করা হলেও কথিত প্রভাবশালী সুদে ইব্রাহিমের দখলের কারনে রাস্তাটি পুরোপুরি ফ্লাট সলিং করা সম্ভাব হয়নি বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে ইউপি মেম্বার আজিম বিশ্বাস বলেন, ইতোপূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ অত্রাঞ্চলের গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি’তে কয়েক দফা সরকারি-বেসরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা মাপজোপ করে দখলকৃত রাস্তার জায়গা থেকে নিজ দায়িত্বর সরিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও এখনো পর্যন্ত সরকারী এই জায়গা নিজ দখলে রেখে দিয়েছে বিতর্কিত ইব্রাহিম।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছে সম্প্রতি ইব্রাহিম অনেকটা দাম্ভিকতার সাথে প্রচার করছে আমি প্রাচীর ভাংবনা, ক্ষমতা থাকলে কেউ এসে সরিয়ে দিয়ে যাক। ইব্রাহিমের নিকট প্রতিবেশী (স্বর্ণশিল্পী) বাচ্চু মিয়া অনেকটা ক্ষোভের সাথে বলেন, অবাক লাগে এইটা আমাদের চলাচলের একমাত্র সরকারি রাস্তা। অর্ধেকের বেশী ইব্রাহিম দখলে নিয়ে পাচিল তুলে রেখেছে। এই রাস্তা দিয়ে অর্ধশত পরিবারের সদস্য সহ শতশত লোকজনের চলাচল নিত্যদিনের। এখনে বসবাসরত মানুষের বিপদআপদে একটা এ্যাম্বুলেন্স আনা তো দুরের কথা ঠিকমত ভ্যান-রিকসা পর্যন্ত চলাচল করতে পারেনা সরকারী রাস্তাটার সিংহভাগ দখল করে রাখায়।অবহেলিত রাস্তাটি কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্লাট সলিং এর উদ্যোগ নিলেও দখলমুক্ত না হওয়ায় বারবার’ই থমকে যায়। পূর্ণরায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ ভূমি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও শক্ত পদক্ষেপে’ই বিতর্কিত ব্যক্তির হাত থেকে সরকারী এই রাস্তাটি দখলমুক্ত করা যেত।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত