আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ১১:৩৯

লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি বোরো আবাদে ভাল উৎপাদনের আশা কৃষিমন্ত্রীর

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। একই সাথে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এ বছর হাইব্রিড ধানের আবাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল, সেটিও লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। হাওরসহ সারাদেশের ধান সুষ্ঠুভাবে ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে অনেক ভাল ফলন হবে। শুধু ধান নয়; মাঠে অন্যান্য ফসলের উৎপাদন পরিস্থিতিও ভাল অবস্থায় আছে বলে জানান মন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং সংস্থাপ্রধানসহ প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে, এবছর বোরোতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১ লাখ ৪ হাজার ৬৩৩ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মোট আবাদ বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর ও হাইব্রিডের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে। উল্লেখ্য, এবছর বোরো ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সহায়তা বাবদ প্রায় ১৪৫ কোটি  টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধানের চাষ বৃদ্ধিতে দেয়া হয়েছে প্রায় ৮৫ কোটি টাকার প্রণোদনা। এবছর ২ লাখ হেক্টর বেশি জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই ছোট দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি, যা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে শিল্পায়ন, নগরায়নসহ নানা কারণে চাষের জমি দিন দিন কমছে। এই কম জমি থেকেই আমাদের খাদ্য চাল উৎপাদন করতে হবে, চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। ভুট্টা, আলু, শাকসবজি, তেল, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের চাষ ও উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা চলছে। কিন্তু, জমিস্বল্পতার কারণে একটির আবাদ বাড়াতে গেলে অন্যটির কমে যায়। কাজেই, সকল ফসলের উৎপাদন অব্যাহত রাখা ও তা আরো বৃদ্ধি করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গবেষক-বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকলকে আরো মনোযোগী হতে হবে।

 সভায় জানানো হয়, চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৬৮টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি হয়েছে ৪০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

আরো সংবাদ