আজ - বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১:১৮

লতার শেষকৃত্যে শাহরুখের মোনাজাত, বিজেপি নেতার কটাক্ষ

লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যে বলিউড ‘বাদশাহ’ শাহরুখ খানের ‘দোয়া’ পাঠের ছবি নেটমাধ্যমে ভাইরাল। অনেকেই এই ছবি নিয়ে প্রশংসা করলেও কারও কাছে এই ছবি ‘বিতর্কিত’। এক বিজেপি নেতা প্রকাশ্যেই জানতে চাইলেন, প্রার্থনার নামে শাহরুখ সুরসম্রাজ্ঞীকে ‘অসম্মান’ করেননি তো? কারণ তার সন্দেহ, বলিউড অভিনেতা লতার শেষ শয্যার সামনে থুথু ছিটিয়েছেন!

লতার শেষশয্যায় শাহরুখের শ্রদ্ধা নিবেদনের ছবিটি রোববার বিকেল থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল সর্বত্র। তাতে লতার মরদেহ দেখা না গেলেও শাহরুখকে দেখা যায় তার ধর্মীয় রীতি মেনে ‘দোয়া’ বা প্রার্থনা করতে।

শাহরুখের পাশেই দু’হাত জোর করে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় তার ম্যানেজার পূজা দাদলানিকে। পাশাপাশি দুই ধর্মীয় রীতিতে শ্রদ্ধা জানানোর সেই দৃশ্যটি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সুপারস্টারের প্রার্থনার প্রশংসা করেন অনেকেই। কিন্তু এর মধ্যেই এক বিজেপি নেতার টুইটে বিতর্ক দানা বাঁধে। অরুণ যাদব নামের ওই নেতা টুইটারে শাহরুখের প্রার্থনার ভিডিয়ো শেয়ার করে জানতে চান, ‘ইনি কি থুথু ছেটালেন?’

ওই বিজেপি নেতার টুইটারে ‘ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট’ রয়েছে। তাতে লেখা তিনি হরিয়ানার রাজ্য বিজেপির ভারপ্রাপ্ত। অরুণের টুইটে অনেককেই এর পর শাহরুখ বিরোধী মন্তব্য করতেও দেখা যায়। কেউ কেউ এমনও বলেন, লতাকে শ্রদ্ধা জানানোর নামে অসম্মান করেছেন বলিউড সুপারস্টার। শাহরুখ অবশ্য কোনও ছবি বা ভিডিয়ো নিয়েই কোনও মন্তব্য করেননি।

তবে যথার্থ ব্যখ্যা দিয়েছেন শাহরুখ ভক্তরা। ওই বিজেপি নেতার সমালোচনা করে তারা বলেছেন, ইসলাম ধর্মে দোয়া বা প্রার্থনা করার পর ফুঁ দেওয়ার রীতি রয়েছে। এটি অশুভ আত্মাকে তাড়াতে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়। শাহরুখ তা-ই করেছেন। এতে শিল্পীকে কোনও ভাবেই অসম্মান করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। বাবার হাত ধরেই গান ও অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন তিনি। ১৩-১৪ বছরে প্রথম গান গেয়েছিলেন মারাঠি সিনেমায়। হিন্দিতে প্রথম প্লেব্যাক করেন ‘মজবুর’ সিনেমায়। লতার সুরেলা কণ্ঠ সিনেমা ও গানে প্রাণ ঢেলে দিতো। নক্ষত্রপতনে তাই শোকস্তব্ধ দুনিয়া।

২৭ দিন ধরে করোনা, নিউমোনিয়া আর বার্ধক্যজনিত জটিলতার সঙ্গে লড়াই করেছেন লতা মঙ্গেশকর। ৯ জানুয়ারি তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল লতার। ৩০ জানুয়ারি তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ভেন্টিলেশন থেকে বের করেও নিয়ে আসা হয় সুরসম্রাজ্ঞীকে। কিন্তু দুদিন আগে পুনরায় তার অবস্থার অবনতি হয়। অবশেষে রোববার সকালে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

সূত্র : আনন্দবাজার

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত