বিশেষ প্রতিনিধি : রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন কে সামনে রেখে তৃনমূলে জনপ্রিয়তায় আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন জেলা তরুণলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহমুদ হাসান লাইফ । বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি বেশ অপ্রতিদ্বন্দি হয়ে উঠেছেন রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পদে ইতমধ্যে ব্যাপক আলোচনায়ও রয়েছেন তিনি।
মাহমুদ হাসান লাইফ যশোর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একজন ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। প্রায় দেড় যুগ ধরে রামনগর ইউনিয়নের গণমানুষের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকার জীবন মান উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছেন। জনপ্রতিনিধি না হলেও যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহারুল ইসলামের স্বান্নিধ্যে থেকে এলাকার উন্নয়নে অবিরাম কাজ করে চলেছেন এই তরুণ নেতা।
তৃণমূলের তথ্যানুযায়ী তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র,বিনয়ী ও কর্মী বান্ধব নেতা।এছাড়াও এলাকার তরুন ছেলেদের ক্রীড়া সহযোগিতা সহ ক্রীড়াঙ্গনে রয়েছে তার বিশেষ অবদান। জনহিতৈশী, জননন্দিত, সহজ সরল, শান্ত সদা হাস্যময়, ভদ্র স্বভাব সুলভ আচরনের এ ব্যক্তিটি ঘুণে ধরা সমাজকে উন্নয়নের পথে আনতে চায়। এলাকার সচেতন মানুষদের সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি, মাদক, নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ইভটিজিং রোধে সব সময় তিনি সোচ্চার। যেকোন কর্মী থেকে শুরু করে তৃণমূল সাধারণ ভোটাররা তাঁর কাছে কোন প্রয়োজনে গেলে কাউকেই নিরাশ হতে হয়নি। তিনি সাধ্যমত সব ধরণের চেস্টা করে থাকেন। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে জনগনের সুখে,দুঃখে শাহীন চাকলাদারের হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন।মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিম খানা,মন্দির, গীর্জা সহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে সহায়তা করেছেন। তিনি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলে উন্নয়নেরে এ ধারা আরো গতিশীল হবে মনে করছেন ইউনিয়নের বিশিষ্টজনরা ।
মাহমুদ হাসান লাইফ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন-আদর্শ বাস্তবায়নে শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে রামনগর ইউনিয়ন বাসীর পাশে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে পরিনত করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, রামনগর ইউনিয়ন সেখানে পৌছে দিতে কাজ করব। আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হলে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ বক্স রাখবো। আমার ভুল ত্রুটি এবং রামনগর ইউনিয়নবাসীর পাওয়া না পাওয়ার অভিযোগ তারা নিজেরাই জমা দিতে পারবে।”
ইউনিয়নবাসীদের উদ্দেশ্যে লাইফ বলেন, আমি কর্মীদের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে চাই। আপনারা আমাকে যখন পাশে ডেকেছেন পাশে পেয়েছেন আগামীতেও দিন রাত যখনই ডাকবেন আল্লাহ চাইলে আমি আপনাদেরই পাশে থাকবো। আমি হোয়াইট কালার ক্রিমিনালদের স্বীকার। আমি যখনই রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছি তখনই বিভিন্ন চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে।যতবার ষড়যন্ত্র হয়েছে আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দো’আতে আমি আজও আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হয়ে আপনাদের ভালোবাসা পেতে বেঁচে আছি।আমি কখনই অন্যায়কারীর পক্ষে নই।বিভিন্ন সময় অন্যায়কারীর পক্ষে না থাকায় আমাকে হামলা- মামলার শিকার হতে হয়েছে।ইউনিয়নের প্রতিটি অবহেলিত কর্মীর দুর্দিনে আমি সবসময়ই পাশে থাকবো কারণ আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমি রাজনীতি করি, রাজনীতি আমার নেশা আর এইটা’ই একটি পক্ষের সহ্য হয়না।”
যশোর জেলা তরুণ লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও রাজারহাট শান্তি শৃংঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক, সহ মাহমুদ হাসান লাইফ একাধারে, রাজারহাঁট বাজার বণিক সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক,মুড়লি বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক, মুড়লি তাঁরা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্মসাধারন সম্পাদক,মুড়লি দারুস সালাম উম্মুল কোরআন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সুতিঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও যশোর সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।