দেশর উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে আকাশ। সূর্য উঠলেও অনেক এলাকাতেই রোদের কিরণ পৌঁছাচ্ছে না। চারপাশ ঘনঘোর। শীতে কাঁপছে দেশ। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তাপমাত্রা নেমে গেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দেশে এ বছর এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের তীব্রতা অব্যাহত থাকবে। এরপর থেকে উষ্ণতা একটু একটু করে বাড়বে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, আজ রোববার উত্তরের কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, নিকলী, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ও বরিশাল অঞ্চলে আজ রাতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা নেমে যেতে পারে। বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বর্ধিত অংশে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং আমাদের দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিরাজ করছে। এর প্রভাবেই দেশের বেশ কিছু এলাকার ওপর দিয়ে ভারী ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জানুয়ারির শেষ দিনগুলোয় এই শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কার কথা আগেই পূর্বাভাসগুলোয় বলা হয়েছিল।’ তিনি জানান, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর দেশে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টেকনাফে ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা পড়বে।
আমাদের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। গতকাল শনিবার থেকেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে। কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর দেশে এটি সবচেয়ে কম তাপমাত্রা। এ অবস্থা কয়েক দিন থাকতে পারে।
গত ১৯ ডিসেম্বর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র নেমে এসেছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডা ও কনকনে বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। কুয়াশায় ঢেকে আছে চারদিক। রাতভর বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে শিশির পড়ছে।
ঠান্ডায় প্রচণ্ড কষ্টে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও দরিদ্র মানুষ। তাঁরা বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন।