বিনোদন প্রতিবেদক : গতকাল ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায় বাংলাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার। কারণ ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই ফেসবুকে তিনি শ্রীদেবীর মৃত্যু খবর দেখতে পান। তখন থেকেই ভীষণ মন খারাপ তার। রুনা লায়লা নিজ দেশের পাশাপাশি এখনো সমানতালে কাজ করছেন ভারতে। আগে চলচ্চিত্র এবং অডিও মাধ্যমের ব্যস্ততা বেশি থাকলেও এখন স্টেজ শো বেশি করা হয়। কাজের সুবাদে এসব দেশে ভক্তগোষ্ঠী যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি শোবিজের বাসিন্দাদের কেউ তাঁর বন্ধু-সহকর্মী-শুভাকাঙ্খীতে পরিণত হয়েছেন। বলিউডের কেউ রুনার ভক্ত, আবার কারও কাজের ভক্ত রুনা। আর তাই তো যখনই তাঁর ভারতে যাওয়া হয়, সময়-সুযোগ পেলে কাজের ফাঁকে দেখা করেন তাঁদের কারও সঙ্গে। ভারতের সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর সঙ্গেও তাঁর দেখা হয়েছে। তবে ভারতে নয়, শ্রীদেবীর সঙ্গে রুনা লায়লার দেখা হয়েছে তিনবার, একবার লন্ডনে আর দুবার দুবাইয়ে।
প্রথম দেখার স্মৃতি মনে করতেই রুনা লায়লা বলেন, ‘নব্বই দশকের একবারে গোড়ার দিকে লন্ডনে শ্রীদেবীর সঙ্গে প্রথম দেখা। তখন তাঁরা সেখানে সালমান খানসহ “চাঁদ কা টুকরা” ছবির শুটিং করছিলেন। আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম লন্ডন। আমি যেখানে ছিলাম, পাশেই ওরা শুটিং করেছে। তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সেদিন হাই-হ্যালো আর অল্প কিছুক্ষণ আলাপ হয়। এরপর ওরা শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়, আমিও চলে আসি।’ দুবাইয়ে ‘সুরক্ষেত্র’র শুটিংয়ের ফাঁকে রুনা লায়লা ও শ্রীদেবী। দুবাইয়ে ‘সুরক্ষেত্র’র শুটিংয়ের ফাঁকে রুনা লায়লা ও শ্রীদেবী।দুই দশক পর আবার রুনা লায়লা ও শ্রীদেবীর দেখা হয়। ‘সুরক্ষেত্র’ নামে একটি রিয়্যালিটি শোর বিচারকাজ করতে গিয়ে ২০১২ সালে তাঁদের আবার দেখা। দুবাইয়ে এই রিয়্যালিটি শোর শুটিং হয়। রুনা লায়লা বলেন, ‘আমি যে “সুরক্ষেত্র” অনুষ্ঠানের বিচারকাজ করেছিলাম, তার প্রযোজক ছিলেন শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর।
আমাদের শুটিংয়ে এসেছিলেন একবার। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় সেদিন খুব বেশি আলাপ হয়নি। কিছুক্ষণের আলাপে ছবি তোলা হয়। আমরা আবার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এরপর দুবাইয়ে আশা ভোঁসলের রেস্টুরেন্টে আমাদের সব বিচারককে রাতের খাবারের দাওয়াত দেওয়া হয়। সেখানে বনি কাপুর আর শ্রীদেবীও এসেছিলেন। তখন খাওয়ার ফাঁকে দারুণ আড্ডা হয়। সেদিন কোনো কাজ নয়, শুধুই আড্ডা দিয়েছিলাম।’ রুনা লায়লা আরও বলেন, ‘এমন প্রাণবন্ত একজন মানুষ হঠাৎ করেই চলে গেলেন! একদমই অপ্রত্যাশিত। গতকাল ভোরবেলা হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায়। মোবাইল হাতে নিতেই দেখি নিউজফিডে শ্রীদেবীর মৃত্যুসংবাদ! প্রথমে দেখে বিশ্বাস করতে পারিনি। এটা কী করে সম্ভব! এরপর ফিল্মফেয়ার একটা খবর দেয়। তারপর পড়লাম। দেখলাম, আসলে এটা সত্য। এত অল্প বয়সে তাঁর চলে যাওয়া খুবই খারাপ লাগছে।’