আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - দুপুর ১:৪০

সংক্রমণ রোধে কাঁচা খেজুররস খেতে সতর্কতা

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে শীতে দেশে জাঁকিয়ে বসতে পারে নিপাহ ভাইরাস। বিশ্বে যেসব রোগ মহামারির রূপ নিতে পারে তার একটি তালিকা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার মধ্যে, নিপাহ ভাইরাসের নামও আছে। গবেষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাংলাদেশ নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকিতে আছে। বাদুড়ের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ায় বলে শীতে খেজুরের রস খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য প্রসিডিংস্ অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’- পিএএনএস-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগে যতোটা ধারণা করা হয়েছিল, নিপাহ ভাইরাস তার চেয়ে বেশি সংক্রামক। যেকোনও সময় যেকোনও জনবসতিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। নিপাহ বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়া অঞ্চলে আরেকটি মহামারির কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। ছয় বছর ধরে বাংলাদেশে দুই হাজার ৭০০ বাদুড়ের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করেছে সংস্থাটি। নিপাহ ভাইরাসের প্রধান মাধ্যম খেজুরের কাঁচারস ও বাদুড়ের আধখাওয়া ফল। করোনার মতো এতোটা ছোঁয়াচে না হলেও সংক্রমিত ব্যক্তির সংর্স্পশে আসা ব্যক্তিরাও এতে আক্রান্ত হন। ২০০১ সালে মেহেরপুর জেলায় প্রথম নিপাহ ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। তারপর থেকে প্রতি বছরই কম-বেশি নিপাহ আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। মারা গেছেন ২২৫ জন। শীতে তাই খেজুরের কাঁচা রস ও বাদুড়ের আধখাওয়া বা মাটিতে পড়ে থাকা ফল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কাঁচারসকে আগুনে জ্বাল দিয়ে ফুটালেই নিপাহ ভাইরাস মারা যায়। বাদুড়ের মূত্রে চারদিন পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে ভাইরাসটি। আক্রান্ত ব্যক্তির হঠাৎ জ্বর, মাথাব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ ও কারও কারও শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য স্নায়ুরোগ দেখা দিতে পারে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে, আইইডিসিআর-এ যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

আরো সংবাদ