আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৬:৫১

সমকালের সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলায় আদালতের সমনজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ০১ অক্টোবর ২০১৯ সমকালে যশোরে ফের আলোচনায় শাহীন চাকলাদার শিরোনামের সংবাদ প্রকাশের পর দৈনিক সমকালের প্রকাশক একে আজাদসহ পত্রিকার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মানহানির মামলা হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার ফোরাম যশোরের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেনকে সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সংবাদে জামায়াতের রোকন উল্লেখ করায় রোববার এ মামলা করা হয়।

বিচারক যশোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও প্রতিবেদক জয়নাল আবেদিন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদী একেএম খয়রাত হোসেন ১৯৬৭ সালে তৎকালীন বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। এছাড়া ১৯৬৮-৬৯ সালে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সদস্য থাকাকালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার আদালতে মামলার আসামি হয়েছিলেন খয়রাত হোসেন। সেই মামলায় তাকে দ-প্রাপ্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে পাক সেনারা খয়রাত হোসেনকে জীবিত অথবা মৃত আটক করতে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। সে কারণে একই বছরের ২৭ মার্চ বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বনগাঁ চলে যান তিনি। সেখান থেকে ট্রেনিং করে আবার বাংলাদেশে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ বঙ্গের পরিবহন মালিক সমিতি ও যশোরের বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন খয়রাত হোসেন।
সমকালে প্রকাশিত সংবাদে মুক্তিযোদ্ধা একেএম খয়রাত হোসেনকে এক সময়ে জামায়াতের রোকন ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী একেএম খয়রাত হোসেন বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে জামায়াতের রোকন বানানোর কারণে আমার আত্মসম্মানে লেগেছে। একারণে আমি সমকাল পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
মামলার আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির বলেন, সমকাল পত্রিকার প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও একজন প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে দ-বিধির ৫০০, ৫০১, ৫০২ ও ১০৯ ধারায় আমরা মোকদ্দামা করেছি। বিচারক সকল আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

আরো সংবাদ