আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ১০:০৬

সম্পত্তির লোভে সৎ মাকে হত্যা চেস্টা

যশোরে সম্পত্তির লোভে সৎ মাকে রডদিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করেছে রমিম ওরফে ফাহিম নামে এক ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ এপ্রিল সকালে যশোর শহরের পুলিশ লাইন খোলাডাঙ্গা এলাকায়।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সৎ মা নুরুন্নাহার নুন্নীকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকা রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি যশোরের একটি হাসাপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

অন্যদিকে, এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে সৎমায়ের মত সৎ বোন ও অন্য আত্মীয়দের একই অবস্থা করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছেন ছেলে ফাহিম। এঘটনায় কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গুরুতর আহত নুর নাহার নুন্নীর পরিবার। অভিযুক্ত ছেলে ফাহিম ও তার বোন ডলি ও মা সুফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের পুলিশ লাইন খোলাডা এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারি আনোয়ার হোসেন দুই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন। ছোট স্ত্রী নুরুন্নাহার নুন্নীর দুই সন্তানের মধ্যে সবুজ নয় বছর আগে মারা গেছেন। আরেক সন্তান পপি থাকেন শ্বশুর বাড়িতে। নুরুন্নাহার স্বামীর বাড়িতে বসবাস করেন। অন্যদিকে একই বাড়িতে বড় স্ত্রী সুফিয়া বেগম, তার একমাত্র ছেলে ফাহিম থাকেন দুই মেয়ে ডলি ও পলি থাকেন শ্বশুর বাড়িতে।

আভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফাহিম তার বাবার জমি লিখে নিতে বর্তমানে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় তার সৎ মা ও সৎ বোন পপিকে হত্যাসহ নানা ধরণের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল সকালে ফাহিম তার সৎ মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায় প্রতিবাদ করলে লোহার রডদিয়ে তার মায়ের মাথায় গুরুতর আঘাত করে। এ সময় তার মা অচেতন হয়ে পরে। এ সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। গলায় পা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজন এসে নুর নাহারকে উদ্ধার করে। পরে তারা নুর নাহারকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবণতি হলে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। সেখান থেকে গত ১৯ এপ্রিল তাকে যশোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়, আনোয়ার হোসেনের পুলিশ লাইন এলাকায় নয় শতক জায়গার উপর দুইতলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া গ্রামেরবাড়ি আন্দোলপোতা গ্রামে সাত-আট বিঘা জমি, পাগলাদাহে কিছু জমি ও তার পেনশনের টাকা রয়েছে। মূলত এ টাকা ও সম্পত্তির ভাগ অন্য কাউকে দিতে চায়না ফাহিম। এবার হজে যাবেন আনোয়ার। হজে যাওয়ার আগে ওইসব জমি লিখে নিয়ে ফাহিম এ ধরণের কর্মকাণ্ডে মেতেছে।

এ বিষয়ে ফাহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আরো সংবাদ