আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:৩১

সরকারি খালে বাঁধ দেওয়ার প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সৈয়দ মনাব্বির আহমেদ (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার পরিদর্শক মো. কবির হোসন।

সোমবার উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনাব্বির আহমেদ ওই গ্রামের শিব্বির আহমেদের ছেলে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তোফাজ্জল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মনাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। এ ছাড়াও তিনি সৃজন সাহিত্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং একুশে সৃজন ও দশ দিগন্ত নামে একটি সাপ্তাহিক লিটল ম্যাগের সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামের ওসমান, মজনু ও মিল্লাত নামে কয়েকজন একটি সরকারি খালে বাঁধ তৈরি করে পানি নিষ্কাসনে বাধা দেয়। ফলে খালে জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। এর প্রতিবাদ করেন মনাব্বির। এ নিয়ে ওসমানের সঙ্গে মনাব্বিরের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। তবে ওসমান ও তার সহযোগিরা বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। সোমবার বিকেলে ওসমানসহ তার ১০-১৫ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মনাব্বিরের ওপর হামলা করে। এ সময় মনাব্বিরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আরো তিনজন আহত হয়। পরে গুরতর আহত মনাব্বিরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার।

আহতরা হলেন- একই গ্রামের ফাইজুল (৩৫), সুমন (৩৪) ও নিহতের ভাই তন্ময় (১৭)।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক মো. কবির হোসেন জানান, খালে বাঁধ দেওয়ার প্রতিবাদ করায় মনাব্বিরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ওসমানসহ কয়েকজন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

আরো সংবাদ