সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথম দিন সকাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। শহরে বাধা নিষেধ অমান্যকারীদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকবে। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু অব্যাহত থাকবে। তবে দূরপাল্লার সকল যাত্রীবাহী বাস এবং মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিকশা, নছিমন, করিমনসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সব যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালু থাকবে। এসময় বন্দরে সবধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। বন্দর এলাকায় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার, হেলপারসহ সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। না মানলে জরিমানা করা হবে। ব্যাংক বিমা খোলা থাকবে।
এছাড়া, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনও রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ। সীমান্তবর্তী সাতক্ষীরা সদর, কালিগঞ্জ ও কলারোয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বিজিবি সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ জানান, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ প্রতিরোধে সীমান্তে বিজিবির অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহে ২৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিধিনিষেধ অবশ্যই মানতে হবে। আর নিম্নআয়ের মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার (৫ জুন) সকালে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।