আজ - শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৯:২৮

স্ত্রীকে ধর্ষন,ধর্ষণকারী কে হত্যা করলো স্বামী।

স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে ঝিনাইদহের মহেশপুরে শাহজাহান আলী ফকিরকে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রাজু। গ্রেপ্তারের পর গত বৃহস্পতিবার (৬ মে) দুপুরে সিনিয়র জুড়িশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াদ হাসানের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। আসামি রাজু যশোরের চৌগাছা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামে ছেলে।
জবানবন্দিতে রাজু বলেন, আমি পেশায় একজন দিনমজুর। আমার ৩ বৎসরের একটা কন্যা সন্তান রয়েছে। আমার বাবার পীর হওয়ার সুবাদে শাহজাহান ফকিরকে আমি দাদু বলে ডাকি। ভালো সম্পর্ক থাকায় মহেশপুরের বামনগাছার বেলেমাঠ গ্রামে তার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতাম। গত ৮ মে আমার স্ত্রীকে নিয়ে শাহজাহান ফকিরের বাড়িতে বেড়াতে যাই। সেখানে ২/৩ দিন থাকার পর চলে আসতে চাইলে দাদু বলেন, দাদি অসুস্থ তোর বউকে কয়েক দিনের জন্য রেখে যা। সে আমার রান্না—বান্না করে দেবে। তার কথা অনুযায়ী; আমিও বউ সন্তানকে রেখে ঢাকায় চলে আসি।
রাজু বলেন, এরপর গত ১৫ মে রাত ১০টার দিকে আমার স্ত্রীকে ফোনে কল করি। কিন্তু সে কল ধরেনি। এরপর দাদুকে কল করি। কিন্তু দাদুও কল ধরেননি। রাত প্রায় ৩টার দিকে পুনরায় আমার স্ত্রীকে কল করলে সে কাঁদতে কাঁদতে জানায়—দাদু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। পরের দিন সকালে আমার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। ঢাকা থেকে ফিরে আমি মামলা করতে চাইলে স্ত্রী নিষেধ করে। স্ত্রী আমাকে বলে—মামলা করলে আমাদেরই মান সম্মান যাবে। এর পর ২৮ মে (বুধবার) রাতে আমার চাচাতো ভাই রাসেলকে সাথে নিয়ে দাদুর বাড়িতে যাই। যদিও রাসেল এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। চাচাতো ভাইয়ের ডিউটি থাকায় সে ৯টার দিকে বাড়িতে চলে যায়। পরে রাত ১২ টার দিকে আমি দাদুকে জিজ্ঞাসা করি তুমি আমার স্ত্রীর সাথে এমনটা করেছো কেন ? সে বলে (দাদু) কোন প্রমাণ নাই, তুই আমার কিছুই করতে পারবি না। এরপর রাত আড়াইটার দিকে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে আমি তার গলায় পোঁচ মেরে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজুকে বুধবার (৫মে) বিকেলে উপজেলার খালিশপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬মে) দুপুরে সিনিয়র জুড়িশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াদ হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে রাজু শাহাজাহান ফকিরকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
গত (২৮ মে) বুধবার গভীর রাতে মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেলেমাঠ গ্রামের মৃত আকালে মন্ডলের ছেলে শাহজাহান আলী ফকিরকে (৬৫) নিজ বাড়িতে জবাই করে হত্যা করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার নিহত শাহজাহান ফকিরের মেয়ে রাফিজা খাতুন রাজুকে প্রধান আসামি করে মহেশপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত