কে পাবে টিকিট?
শাহ্ নেওয়াজ (কুড়িগ্রাম থেকে)।।
ড. ইমরান এইচ সরকার আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে পারে বলে অনেকে ধারনা করলেও ইমরান সরকার নির্বাচন করতে ইচ্ছুক না বলে তিনি জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের এখনও প্রায় দেড় বছর বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। এ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম ৪ আসনের প্রার্থী হিসাবে ১৪ দল থেকে কে পাবে টিকিট আওয়ামী লীগ নাকি জাতীয় পার্টি জেপি? এ নিয়ে সবাই রয়েছে ধোঁয়াশার মধ্যে।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনটি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলা, রাজিবপুর উপজেলা, চিলমারী উপজেলার অষ্টমীরচর ইউনিয়ন ও নয়ারহাট ইউনিয়ন এবং উলিপুর উপজেলার আলগা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ২০১৪ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেনকে হারিয়ে জাতীয় পার্টি জেপি এর প্রার্থী রুহুল আমিন বিজয়ী হয়।
এ আসনটি আবার আওয়ামী লীগের দখলে আসতে পারে বলে স্থানীয় জনগনের মনে করছেন। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসলে অন্য কিছু ও ঘটতে পারে, এ আসনটিতে জামাত প্রার্থী দিলেও সামনের নির্বাচনে দিতে পারবেনা বলে অনেকের ধারণা তাই বিএনপি প্রার্থী দিবে বলে জনগন ধারনা করছে।
কুড়িগ্রাম ৪ আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে চান সাবেক এমপি ও রৌমারী উপজেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসি, রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিনু তিন নং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের, ৬ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মনি, বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে চায় রৌমারী উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ হোসেন সোনা, হাসেম ও ইমান আলী ইমন, জাতীয় পার্টি জেপি থেকে বর্তমান এমপি রুহুল আমিন। এছাড়াও ড. ইমরান এইচ সরকার আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হতে পারে বলে অনেকে ধারনা করলেও ইমরান সরকার নির্বাচন করতে ইচ্ছুক না বলে তিনি জানান।
সাবেক এমপি ও রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাকির হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ আসন ১৪ দলের হলেও আওয়ামী লীগের জন্য উম্মুক্ত এখানে ১৪ দল থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিবে। আমাকে ছাড়া নেত্রী যদি অন্য কাউকে প্রার্থী করে তবে আমরা সবাই কাজ করবো। তবে রৌমারীর জনগন চায় রৌমারী থেকে প্রার্থী দেওয়া হক রাজিবপুর থেকে দিলে রৌমারীর ভোটাররা অন্য দিকে যাবে। আর এতে প্রার্থী নিশ্চিত হেরে যাবে কারণ রাজিবপুরের চেয়ে রৌমারীর ভোট দিগুন বেশী।
রৌমারী ও রাজিপুর এলাকায় ইমরানের গণসংযোগের কারণে আওয়ামী লীগের চোখে ঘুম নাই এমন প্রশ্নের জবাবে জাকির হেসেন বলেন, ইমরান তো আওয়ামী লীগের কিছু না যে তার জন্য ঘুম নষ্ট করবো।
রাজিপুর উপজেলার মচরাকান্দি গ্রামের নওশের আলী বলেন, আমরা চাই, যে সব সময় আমাদের দেখবে তাদের কে ভোট দিবো যার কাছে যাওয়ার ক্ষমতা নেই তাকে ভোট দিবো না। যে প্রার্থী হক মনের মত না হলে ভোট দিতে যাবো না।
সাহেবের আলগার গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই আওয়ামী লীগ থেকে ফজলুল হক এমপি হোক তিনি তার ইউনিয়নের জন্য যত কাজ করেছে এমপি হলে রৌমারী রাজিপুরের জন্য ভালো কাজ করবে তাই তার এমপি হওয়ার দরকার। ফজলু ছাড়া আমাদের এলাকায় কেউ উন্নয়ন করেনি করবে না। রৌমারীর মানুষ রাজিপুরের ভোট দিবে না। এতে কেউ মন্ত্রীর জামাই হোক আর ছেলে হোক।
রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম না বলার শর্তে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলেও এ আসনে এবার আওয়ামী লীগ জয় হবে। কারণ গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি না করে জনগন বুঝেছে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি না হলে এলাকার উন্নয়ন হবে না।
উপজেলা বিএনপির এক সদস্য নাম না বলা শর্তে খানজাহান আলী২৪ ডটকমকে বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বিএনপি থেকে কুড়িগ্রাম ৪ আসনের এমপি হবে আর সুষ্ঠ না হলে কি হবে বলা যায় না।